শেখ হাবিতুল্লা আখুন্ডজাদাই শেষ কথা নতুন প্রশাসনে

শেখ হাবিতুল্লা আখুন্ডজাদাই (Photo:SNS)

আফগানিস্তান দখলের কয়েক সপ্তাহ পর আজ নতুন সরকার গঠনের কথা ঘােষণা করতে পারে তালিবানরা। খুব স্পষ্ট করে বলা না গেলেও এবারের নামাজের পর নতুন সরকারের ঘােষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের কায়দায় আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন করতে চলেছে তালিবানরা।

এদিকে, আফগানিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে তালিবানদের যতগুলাে গােষ্ঠী রয়েছে তাদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে তালিবানদের ধর্মীয় নেতা মােল্লা শেখ হাবিবুল্লা আখুন্ডজাদা সম্ভবত আফগান প্রশাসনের শীর্ষ নেতৃত্ব হতে চলেছেন।

ইরানে দেশের শীর্ষ নেতাই একাধারে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। ঠিক একইভাবে আফগানিস্তানেও দেশের শীর্ষ নেতাকে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে গণ্য করা হবে। ষাটোর্ধ্ব নেতা মােল্লা শেখ হাবিতুল্লা আখুন্ডজাদা প্রেসিডেন্টেরও ওপরের পদাধিকারী হবেন।


তিনি আফগান সেনা প্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থার প্রধানদের নিযুক্ত করবেন। ফলে আফগান রাজনীতি, ধর্ম ও মিলিটারি সমস্ত ক্ষেত্রেই দেশের শীর্ষ নেতা হিসেবে মােল্লা শেখ হাবিতুল্লা আখুন্ডজাদার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

তালিবানরা ইতিমধ্যে প্রদেশ ও জেলাগুলাের জন্য গভর্নর, পুলিশ চিফ, পুলিশ কম্যান্ডারদের নিয়ােগ করে ফেলেছে। তবে আফগান প্রশাসনিক ব্যবস্থার নতুন নাম, দেশের পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত কি হবে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

তালিবানদের তরফে জানানাে হয়েছে, তালিবানদের শীর্ষ নেতারা কাবুলে এসে পৌঁছেছেন। কাবুল থেকে নতুন সরকারের ঘােষণা করা হবে। আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠনের পর আফগান মহিলাদের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে তাদের নরমপন্থী মনােভাবের প্রতিশ্রুতির কতটা প্রতিফলন ঘটে তার ওপর আন্তর্জাতিক মহল নজর রাখছে।

এদিকে, আজ থেকে উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ থেকে ইসলামাবাদের মধ্যে বিমান চলাচল ফের শুরু করা হয়েছে। তালিব নেতা টুইট করে জানিয়েছেন, চিনের বিদেশ মন্ত্রক আফগানিস্তানে চিনা দূতাবাস খুলে রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দের মানকি সহায়তা করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।