মোদি-মমতার বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের, পাল্টা খোঁচা তৃণমূলের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মােদি। Photo: IANS/PMO)

বুধবার রাজ্যের একাধিক দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলােচনায় বাংলার নাম পরিবর্তন থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে।

তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরােধীরা। কংগ্রেস, সিপিএম এমনকি বিজেপিও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া সমালােচনায় মুখর হয়েছে। সকলের একটাই বক্তব্য, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে বাঁচাতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই তড়িঘড়ি দিল্লি সফর এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক।

এই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেসও। প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিরােধীদের যাবতীয় অভিযােগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই জানিয়েছেন, কে কি বলল, তাতে কিছু এসে যায় না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নতুন কিছু নয় বলে মনে করছেন তিনি।


পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, এতাে দেখছি শাঁখের করাত। দেখা করলেও সমালােচনা, আর না করলেও সমালােচনা। একজন প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে অন্য একজন প্রশাসনিক প্রধানের বৈঠক হতেই পারে। এদিকে বিজেপির শীর্ষ নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে ছেড়ে কথা বলেননি।

বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কখনও একান্ত বৈঠক হতে পারে না। তাঁর অভিযােগ, বৈঠকে এনআরসি নিয়ে কোনও কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। দুজনের মধ্যে নিছকই রাজনৈতিক কথাবার্তা হয়েছে। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে বাঁচাতেই এই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে।

অন্যদিকে লােকসভার বিরােধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর দাবি, দুজনের মধ্যে বৈঠকের পিছনে কোনও রহস্য থাকতে পারে। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কোনও কাজ হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রেফার করে দেওয়া হয়েছে।