দিনহাটার মঞ্চ থেকে নিশীথকে নিশানা, কাঠগড়ায় পুলিশও

নিজস্ব প্রতিনিধি— রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হলেও এই মুহূর্তে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই৷ নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তা নির্বাচন কমিশনের হাত চলে গিয়েছে৷ শুক্রবার কোচবিহারে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়ার সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানেই মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপির প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বাইক বাহিনী নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছেন৷ কিন্ত্ত প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ পুলিশের এহেন ভূমিকা দেখে মমতার মন্তব্য, কীসের ভয় আপনাদের? ইলেকশন কমিশন সরিয়ে দেবে? তাহলে দু মাস বাদ ভোট মিটে গেলে কী করবেন?

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝাতে চেয়েছেন, দু’মাস বাদে যখন নির্বাচন কমিশনের হাতে আর আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি থাকবে না, তথন তো তিনি সবটাই দেখবেন৷ শুক্রবার মমতা হুঁশিয়ারি, কোচবিহারে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হলে ছেড়ে কথা বলব না৷ তিনি বলেন, আমার কাছে খবর রয়েছে, কোচবিহারের তিন-চার জন পুলিশ আধিকারিক ঠিকভাবে কাজ করছে না৷ শুক্রবার সেই পুলিশ আধিকারিকদের বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, এখনই দিল্লি চলে যান, না হলে নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি চলে যান৷ তা হলে আর আপনাদের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে না৷ এরপরই সুর বদলে মমতা বলেন, সব পুলিশ অবশ্য খারাপ নয়৷ বেশিরভাগ পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে থাকেন৷ পাশাপাশি দলের নেতাদের ঠাণ্ডা মাথায় ভোট করানোর পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী৷ বিশেষ করে, দিনহাটার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহকে এদিন নাম করেই মাথা ঠাণ্ডা রাখতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উদয়ন বি কুল৷ কুল, কুল-তৃণমূল৷ ঠাণ্ডা মাথায় নির্বাচন করতে হবে৷ নিশীথ প্রামাণিকের নাম করে মমতা বলেন, ও তোমাকে গণ্ডগোলে জড়িয়ে বিএসফকে দিয়ে ভোটটা করিয়ে নেবে৷ সেজন্য আগে থেকে তৈরি থেকো, শান্তি বজায় রাখো৷ উল্লেখ্য, আগামী ১৯ এপ্রিল কোচবিহারে প্রথম দফার ভোট৷ প্রচারপর্ব চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত৷ এদিকে ১৭ এপ্রিল রামনবমী পালিত হবে৷ যে কর্মসূচিকে নির্বাচনের আগে বিজেপি ব্যবহার করতে পারে৷ নির্ধারিত সময়ের পরে যাতে তৃণমূলের তরফে কেউ প্রচারকার্য না চালায় সেদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন৷