বিপ্লবের ত্রিপুরায় তৃণমূলের সেনাপতি সাংসদ দেব

সাংসদ দেব (Photo:SNS)

একুশের বঙ্গভােটে বিপুল জয়ের পরই জাতীয় রাজনীতিতে দলের গুরুত্ব বাড়াতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। এখন তাঁদের লক্ষ্য বিপ্লব দেবের ত্রিপুরা। পড়শি রাজ্য দখলে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল।

ইতিমধ্যেই একাধিক কর্মসুচিতে দলের নেতারা গিয়েছেন ওই রাজ্যে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। সকলের লক্ষ্য, ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার গঠন। সেই লক্ষ্যেই এবার অভিনেতা সাংসদ দেবের উপর ভরসা করছে দল।

জানা গিয়েছে, অতি শীঘ্রই ত্রিপুরায় যাকে তিনি। সেখানে ঠাসা কর্মসুচি তাঁর। সাংসদ দেব বরাবরই আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। হিংসা নয়, বরাবরই সকলকে পাশে নিয়ে, সকলের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলার কথা বলেন তিনি।


এদিকে তাছাড়া অসমের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ বাঙালি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের কাছে গ্রহণযােগ্যতা রয়েছে দেবের। সব বিবেচনা করেই এবার দেবকে ত্রিপুরা পাঠানাের সিদ্ধান্ত। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে তার এই সফর যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে কর্মসূচিতে যােগ দিতে ত্রিপুরা গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা-সহ অন্যান্যরা। তা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজনীতি। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দেবাংশু-জয়া-সুদীপ-সহ একাধিক নেতাকে। তাঁদের উদ্ধারে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরবর্তীতে দোলা সেন, অপরূপা পােদ্দাররাও আক্রান্ত হন ত্রিপুরায়। যার ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ঘটনার জন্য খােদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমাে। তারপরও সায়নী ঘােষ-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা গিয়েছেন ত্রিপুরা। কারণ বিনা লড়াইয়ে জমি ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল।