রাষ্ট্রপতি ভবনে ধরনা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন গেহলট

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। (File Photo: IANS)

তিনি চান বিধানসভার অধিবেশন সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে। কিন্তু রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের এই প্রস্তাবে সায় দেননি এখনও রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। জয়পুরের বিধায়করা রাজভবনের সামনে ধরনা দিয়েও রাজ্যপালকে পারেননি বাধ্য করতে বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে। এমনই এক পরিস্থিতিতে ফের রবিবার বিকেল ৪ টায় রাজভবনে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বৈঠক হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, শনিবার দিনভর রাজ্যজুড়ে রাজস্থানে কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ অবস্থানের মধ্যে রয়েছে। কোটা, যোধপুর, উদয়পুর, জয়পুরে বিক্ষোভ অবস্থান অব্যাহত।

কংগ্রেসের দাবি, গেহলট সরকারকে ফেলার জন্য বিজেপি চাপ বাড়াচ্ছে রাজভবনের ওপর। এদিকে, গেহলটও বসে নেই। তিনিও রাজস্থানের রাজনীতিকে পৌঁছে দিতে চাইছেন দেশের রাজধানীতে। সেই কারণে কংগ্রেস বিধায়ক ও নেতাদের এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন, বিজেপি’র ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে রাষ্ট্রভবন বা প্রধানমন্ত্রীর বাংলোর বাইরে আমরা ধরনায় বসব।


এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে বিদ্রোহী শচীন পাইলট সহ ১৯ জন বিধায়কের বিধায়ক পদ আপাতত সুরক্ষিত থাকছে। গেহলট শিবির চাইছে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে আস্থা প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিতে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে রাজ্যপাল দ্রুত বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে হচ্ছেন না বলে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে।

রাজ্যপাল জানিয়েছেন, পরিষদীয় মেনে কমপক্ষে ২১ দিন সময় প্রয়োজন অধিবেশন ডাকার জন্য। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘনিষ্ঠ বিধায়া বিধানসভার অধিবেশন যাতে বসে সেই দাবিকে সামনে রেখে রাজভম্বনের সামনে পাঁচ ঘণ্টা ধরনায় বসেছিলেন।

এরপর রাজ্যপাল তাদের আশ্বাস দেন তিনি সংবিধানের ধারা মেনেই চলবেন। ধরনা প্রত্যাহার করে নেন কংগ্রেস বিধায়করা। রাতেই বসে মন্ত্রিসভার বৈঠক। আড়াই ঘণ্টার সেই বৈঠকে বেশ কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তা রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গেটের কাছে এখনও পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় বিধায়ক রয়েছে। তারা হোলেটবন্দি রয়েছেন। কিন্তু এই অবস্থা বেশি দিন চলতে পারে না। তাই তিনি চাইছে দ্রুত আস্থাভোট সেরে ফেলতে।

কিন্তু রাজ্যপাল তাতে রাজি না হওয়ায় চাপ বাড়ছে গেহলটের ওপর। কারণ, বেশিদিন বিধায়করা হোটেলবন্দি হয়ে থাকতে রাজি নন। বাইরে বেরোলে ঘোড়া কেনাবেচা শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভানা। সেকারণে চাপ বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর।

এদিকে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গুলাবচন্দ কঠেরিয়া জানান, যে সংকট তৈরি হয়েছে রাজস্থানে তার জন্য বিজেপি দায়ী নয়। রাজ্যপালের পদকে কালিমালিপ্ত করতে কংগ্রেস নাটক করছে। রাজস্থানে যা চলছে তা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।

এদিকে, ২৭ জুলাই বিদ্রোহী শচীন পাইলটদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ সি পি যোশী যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তার শুনানি হবে।