দিল্লি থেকে কলকাতা : গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস পালন বিজেপির

বিজেপি (File Photo: IANS)

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে নিজের বার্তা দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে ভােট পরবর্তী হিংসা নিয়ে পাল্টা ‘শহিদ দিবস’ ও ‘গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস’ পালন করল বিজেপি। এদিন কলকাতায় হেস্টিংসে ভােট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রতিবাদ সভার আয়ােজন করেছিল বিজেপি।

যেখানে তৃণমুলের হাতে নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের লােকজনকে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন বিরােধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বরাবরই তৃণমূল কংগ্রেস ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করে।

এবার মমতা সরকারকে পাল্টা বিধতে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করছে বিজেপি। এদিন বিজেপির তরফ থেকে দিল্লির রাজঘাট থেকে কলকাতার হেস্টিংস অবধি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়ােজন করা হয়।


রাজ্যে ভােট পরবর্তী হিংসার জন্য শাসক দলের দিকেই অভিযােগের আঙ্গুল তুলেছে বিজেপি। আর দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অন্নতির কথা তুলে ধরে এদিন রাজঘাটে ধর্নায় বসেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘােষ।

রাজঘাটের কর্মসূচিতে এদিন যােগ দিয়েছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সহ বাংলার বিজেপি সাংসদরা। অন্যদিকে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে এবং হেস্টিংস কার্যালয়ে দুপুর দেড়টা তেকে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করেন রাজ্য বিজেপির নেতা নেত্রীরা। সেখানে শুরুতেই বক্তব্য রাখেন রাজ্যের প্রধান বিরােধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন হেস্টিংসের কার্যালয়ে ভােট পৰ্বর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবাবের লােকজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু।

এরপর তিনি টুইট করে জানান, তৃণমূলের গুন্ডাদের হাতে নিহত বিজেপি কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতেই এই ২১ জুলাই পালন করা হয়েছে। বাংলা বাঁচাতে, গণতন্ত্র বাঁচাতে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।