কর্ণাটকে সরকার গঠনে উভয় সঙ্কটে বিজেপি

(File Photo: IANS)

অনাস্থা ভােটে কর্নাটকের কুমারস্বামী সরকারের পতনের পরও বিজেপির পক্ষ থেকে সরকার গঠনের দাবি না করায় এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিদ্রোহী ১৫ বিধায়কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে রাজি নয় বলে দলের মুখপাত্র জি মধুসুদন সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে।

বিদ্রোহী ১৫ বিধায়কই এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারের পতনের মূল উদ্যোগী হয়ে কাজ করেন। এমন অবস্থায় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ছাড়া অন্য উপায় নেই বলে বিজেপি সুত্রে জানানাে হয়েছে। কারণ বিদ্রোহীদের সরকার থেকে পদত্যাগ গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে অধ্যক্ষ অযথা কালক্ষেপ করেন, সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল বাজুভাই বালা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জন্য সুপারিশ করতে পারেন এবং এমন অবস্থায় বিজেপির পক্ষে সরকার গঠন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জি মধুসূদন।

চলতি মাসের প্রথম দিকে কংগ্রেসের তেরাে বিধায়ক এবং জেডিএস এর তিন বিধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করার পরও অধ্যক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত ঘােষণা করেননি। এদের মধ্যে একজন আবার তাঁর পদত্যাগ প্রত্যাহারও করেন। 


অধ্যক্ষ পদত্যাগী বিধায়কদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাঁরা বিধানসভার সদস্যই থেকে যাবেন। ফলে বিধান সভার সদস্য সংখ্যা ২২৫ই থাকছে একজন মনােনীত সদস্য সহ। সেক্ষেত্রে সরকার গঠনের জন্য সংখ্যা হল ১১৩। আর বিজেপির বর্তমান সদস্য সংখ্যা হল ১০৫।

বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগ গৃহীত হলে বিধানসভায় সরকার গঠনের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১০৫ হবে। কিন্তু বিদ্রোহী সদস্যগণ বিজেপির পক্ষে পুনর্নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত বিজেপিকে সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে কাজ করতে হবে।

বিজেপির পক্ষে মধুসূদন জানান, দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলেও সরকার গঠনের শর্তমতাে ছয় সংখ্যা কম থাকছে। কারণ দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন সত্ত্বেও বিজেপি সরকার গঠনের সংখ্যা সংগ্রহে ব্যর্থ।

উল্লেখ্য ১৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট বিদ্রোহী বিধায়কদের বিষয়ে অধ্যক্ষ দলত্যাগ বিরােধী আইন মােতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ গ্রহণ করবেন নির্দেশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে অধ্যক্ষ অযথা কালক্ষেপ করলে বিদ্রোহী বিধায়করা সুপ্রিম কোর্টে। আবেদন করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।