জরুরি অবস্থার ৪৬তম বর্ষ পূর্তি, দমন নীতির কালাে দিনগুলাে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo: Twitter/@BJP4India)

আজ দেশে জরুরি অবস্থা জারির ৪৬ তম বর্ষ পূর্তি যা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের এক বিতর্কিত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। কংগ্রেস আমলে দেশে জরুরি অবস্থা জারির ৪৬ তম বর্ষপূর্তিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি টুইট করে লেখেন, ‘খােদ সরকার পরিচালিত দমন নীতির কালাে দিনগুলাে কোনও দিন ভােলা সম্ভব নয়।

স্বাধীনােত্তর ভারতে‘ জরুরি অবস্থা জারি করা ছিল তৎকালীন সরকারের মস্তিষ্ক প্রসূত দমন নীতি চালানাের পদ্ধতিগত অধ্যায়, যা আধুনিক ভারতের ইতিহাসে কালাে অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। প্রধানমন্ত্রী দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালীন সময়ের কথা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল টানা এই দু’বছরে ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলােকে পদ্ধতিগতভাবে ধবংস করা হয়েছিল, তার সাক্ষী ছিল তামাম দেশবাসী।

২৫ জুন, ১৯৭৫ দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ ঘােষণা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের সুপারিশে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হল। আধুনিক ভারতের ইতিহাস নিয়ে যে কোনও আলােচনা সভায় ও রাজনৈতিক পরিসরে স্বাধীন ভারতে ২৫ জুন, ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ, ১৯৭৭ এই দু’বছর সবচেয়ে বিতর্কিত একটা ইস্যু।


প্রধানমন্ত্রী মােদি টুইট করে দেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক চেতনাবােধকে দৃঢ় করে তােলার আর্জি জানান। শুধু তাই নয়, সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত ধারাগুলাের মূল্যবােধকে নিয়ে বেঁচে থাকার উপদেশ দেন।

জরুরি অবস্থা চলাকালীন দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলােকে পদ্ধতিগতভাবে দমন করার সেই ‘ কালাে দিনগুলাের কথা স্মরণ করে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে দলের অফিসিয়াল ইন্সটাগ্রামে ‘দ্য এমার্জেন্সি বাই ইন্দিরা গান্ধি ইন ১৯৭৫; অ্যান আনবিলিভেবেল ফেন্স অফ ইন্ডিয়াজ ডেমােক্র্যাসি’ শীর্ষক পােস্টে তৎকালীন সরকারি দমননীতির উদাহরণ হিসেবে একগুচ্ছ ছবি পােস্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মােদি তার টুইটারে দলের ইন্সটাগ্রামে পােস্ট করা ছবিগুলির লিঙ্কও দেন।