জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল সৌদি আরব

দিল্লি, ৯ এপ্রিল: একেই বলে গাল বাড়িয়ে থাপ্পড় খাওয়া। তেমনি ঘটনা ঘটল ভারতের প্রতিবেশী দেশের কপালে। ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ করতে গিয়ে লাভ হল না কিছুই। উল্টে ভারতের সুরেই সুর মিলিয়ে সবক শেখাল সৌদি আরব। পাল্টা জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে বিঁধলেন মরু দেশের রাজা। গত রবিবার মক্কার আল-সাফা প্রাসাদে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেখানকার সৌদি রাজা মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে সৌদি আরবের তরফে বলা হয়েছে, কাশ্মীর সহ অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়গুলি ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করুক পাকিস্তান।

সংবাদ মাধ্যমে সৌদি আরব এই বিবৃতি দেওয়ার পর চরম অস্বস্তিতে পড়েছে পাকিস্তান। কারণ এতদিন ভারত যে কথা বলে আসছে, সেই কথার পুনরাবৃত্তি হল সৌদি সরকারের মুখে। কার্যত লাভের লাভ কিছুই হল না। মুখ পুড়ল পাক সরকারের। এতদিন কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। অবশেষে সৌদি রাজার কাছে দরবার করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কিন্তু সৌদি সরকার বেঁকে বসতেই পাশা উল্টে গেল। আরবের এহেন বিবৃতি জারি করায় চাপে পড়েছে পাকিস্তান।

প্রসঙ্গত গত কয়েক দশক ধরে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত সরাসরি শুধুমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও ইসলামাবাদ কোনওদিনও ভারতের সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি। রাষ্ট্র সঙ্ঘ ও বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্রের কাছে দরবার করে। এবার সৌদি আরবের বিবৃতিতে রীতিমতো চাপে গিয়েছে পাকিস্তান। এবিষয়ে সৌদি আরব ও পাকিস্তান একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই পক্ষের অমীমাংসিত বিষয়, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে হবে।’


পূর্বে ২০১৯ সালে আমেরিকার কাছে দরবার করে পাকিস্তান। তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করতে চাইলে আপত্তি জানায় ভারত। সেসময় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, সেই সময়ে বলেছিলেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত শুধুমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গেই কথা বলবে। অন্য কোনও দেশের সঙ্গে নয়। অতীতে কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আজও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।