প্রহরশেষের রাঙা আলোয়

কাল্পনিক চিত্র

তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 

২১.
অলমিতি


নয় নয় এ মধুর খেলা

বিকেল তখনও ধূসর আলো ছড়াচ্ছে অশোকনগরের পিচপথে৷ অলমিতি যখন দরজায় কলিং বেল টিপল, সিঁড়িঘরের লাগোয়া কাচের ঘুলঘুলি দিয়ে রুপোলি রোদের উঁকিঝুঁকি৷

সৌম্য দরজা খুলে অলমিতিকে দেখে বিস্ময়ের কণ্ঠস্বরে বলল, তুমি! অলমিতির পরনে একটা আগুন রঙের লম্বা ঝুলের কুর্তি আর পালাজো৷ সেদিকে দৃকপাত না করে সৌম্য এমন অদ্ভুত আচরণ করায় ভুরুতে কোঁচ ফেলে অলমিতি বলল, কেন, এত অবাক হচ্ছ! সৌম্যর কণ্ঠে বিরক্তির আভাস, হঠাৎ এলে? আমি তো ফোন করিনি।

—কেন ফোন না করলে আসতে নেই বুঝি? আগে কখনও ফোন না–পেলেও আসিনি?
সৌম্য একটু কড়া গলায় বলল, আমি এখন খুব ব্যস্ত আছি৷ রিসার্চের কাজ করছি৷

সৌম্য তখনও দরজার সামনে থেকে সরেনি, অলমিতি কোনওক্রমে সামান্য ফাঁক দিয়ে গলিয়ে দিল তার দোহারা শরীর, ভিতরে গিয়ে বলল, তুমি কি আমাকে তোমার ঘরে এন্ট্রি দিতে চাইছ না?
সৌম্য কোনও উত্তর না দিয়ে তার চেয়ারে বসে ঘাড় নিচু করে চোখ রাখল টেবিলে রাখা একটি বইয়ের পাতায়৷ কিছু পড়ছে, তারপর মুখ তুলে পাশে রাখা কম্পিউটারের পাতায় টাইপ করল কিছু৷ টাইপ শেষ হতে আবার চোখ রাখল বইয়ের পাতায়৷

অলমিতি খেয়াল করল সৌম্যর মোবাইলে বাজছে রবীন্দ্রনাথের একটি গান:
নয় এ মধুর খেলা—
তোমায় আমায় সারাজীবন সকাল-সন্ধ্যাবেলা
নয় এ মধুর খেলা৷৷
কতবার যে নিবল বাতি, গর্জে এল ঝড়ের রাতি—
সংসারের এই দোলায় দিলে সংশয়েরই ঠেলা৷৷

গানটা মন-খারাপের৷ হঠাৎ এই গানটাই বা কেন শুনছে সৌম্য তা বোঝার চেষ্টা করছিল অলমিতি৷ তার কি মন খারাপ! কাউকে কি উদ্দেশ করে তার এই ভাবনা! তার লক্ষ্য কি অলমিতিই!
গত সাতদিনের মধ্যে তাদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি৷ কখনও সৌম্য, কখনও অলমিতি ফোন করে কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়৷ কাজের কথা সামান্যই, অকাজের কথাই বেশি৷

গত সাতদিন অলমিতিই ব্যস্ত ছিল বলে ফোন করতে সময় পায়নি৷ সৌম্যও না৷
অলমিতি চুপচাপ বসে লক্ষ্য করছে সৌম্যর নিমগ্ন চোখ। বলল, তুই বরং বলে যা, আমি টাইপ করে দিচ্ছি৷

সৌম্য নীরস কণ্ঠে বলল, তার দরকার হবে না৷ আমি এখন খুব ব্যস্ত৷ তিনদিনের মধ্যে আমার পেপার সাবমিট করতে হবে৷ তার কিছুদিন পরেই আমার ইন্টারভিউ৷ একজন এক্সটারনাল থাকবেন ইন্টারভিউয়ে৷ কে জানি না, তিনি একজন আর্টিস্ট৷ খুব কড়া এক্সটারনাল হলেই মুশকিল৷
বলে আবার মনঃসংযোগ করল কম্পিউটারের স্ক্রিনে৷ খটাখট খটাখট শব্দে টাইপ শুরু করল৷
অলমিতি নিশ্চুপ থেকে দেখতে লাগল কম্পিউটারের কি–বোর্ডে নিমগ্ন সৌম্যর মুখ৷ একটু–একটু পড়ছে, ভাবছে, তারপর টাইপ করছে৷

অলমিতি এদিকে ওদিক তাকিয়ে বিছানার উপর পড়ে থাকা কিছু কাগজ তুলে নিয়ে চোখ রাখল তাতে৷ সৌম্যর গবেষণাপত্রের কয়েকটি পাতা৷ সৌম্য এখন ডুবে আছে রবীন্দ্রনাথের ছবির জগতে৷ রবীন্দ্রনাথের লেখায় ও ছবিতে রং কীভাবে, কতভাবে ঘুরেফিরে এসেছে তার বিশ্লেষণ৷

অলমিতি চোখ বোলায়:
‘কথাসাহিত্যিকের কলমেও ছবি ফোটে, কিন্তু এ যেন চিত্রশিল্পীর ছবি কথাসাহিত্যিকের কলমে৷ রবীন্দ্রনাথ শেষজীবনে কখনও গল্পে, কখনও কবিতায়, কখনও উপন্যাসে এমন গভীরভাবে রঙের ব্যবহার করেছেন যে, মনে হয়েছে রবীন্দ্রনাথের হাতে কলম ছিল না, ছিল তুলি৷ ‘শেষের কবিতা’ থেকে কয়েকটি উদ্ধৃতি দিলে আরও স্পষ্ট হবে রঙের ব্যবহার৷ ‘জানলা দিয়ে দেখলে, দেবদারু গাছের ডালে ঝালোরগুলো কাঁপছে, আর তার পিছনে পাতলা মেঘের উপর পাহাড়ের ওপর থেকে সূর্য তার লম্বা লম্বা সোনালি টান লাগিয়েছে— আগুনে জ্বলা যেসব রঙের আভা ফুটে উঠেছে তার সম্বন্ধে চুপ করে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই৷’ (শেষের কবিতা)।

‘তোমার কালো চুলের বন্যায় / আমার দুই পা ঢেকে দিয়ে বলেছিলে, …’/ বিলের পরপারে পুরাতন গ্রামের আভাস, / ফিকে রঙের নীলাম্বরের প্রান্তে / বেগনি রঙের আঁচলা…/ রাঙা ছিল সকালবেলাকার / নতুন রৌদ্রের রঙ / উঠল সাদা হয়ে৷ / বক উড়ে চলেছে পাহাড় পেরিয়ে / জলার দিকে, / শঙ্খচিল উড়ছে একলা / ঘন নীলের মধ্যে, …৷’
(শেষ সপ্তক )

‘নির্জন পথের ধারে নীচের দিকে চলেছে ঘন বন৷ সেই বনের একটা জায়গায় পড়েছে ফাঁক, আকাশ সেখানে পাহাড়ের নজরবন্দী থেকে একটুখানি ছুটি পেয়েছে তার অঞ্জলি ভরিয়ে নিয়েছে আস্ত সূর্যের শেষ আভায়৷… আকাশে সোনার রঙের উপর চুনি-গলানো পান্না-গলানো আলের আভাসগুলি মিলিয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে মাঝে মাঝে পাতলা মেঘের ফাঁকে ফাঁকে সুগভীর নির্মল নীল৷’ (শেষের কবিতা)।
কাগজগুলো যথাস্থানে রেখে অলমিতি চেয়ারটা তুলে এনে বসল সৌম্যর পাশে৷ চোখদুটো এগিয়ে নিয়ে পড়তে লাগল স্ক্রিনের উপর লেখা সৌম্যর নোট৷ সৌম্য লিখছে:

রবীন্দ্রনাথ যে সময়ে ছবি আঁকা শুরু করতে পারতেন, আর যে-সময়ে ছবি আঁকতে শুরু করেছিলেন, তার মধ্যে কম করেও পঞ্চাশ বছরের ব্যবধান৷ এই দীর্ঘ সময়কালে অনেক বদল ঘটে গেছে রবীন্দ্রনাথের ভাবনাবিশ্বেও৷ একজন তরুণের কল্পনাশক্তির প্রকাশ একরকম, একজন প্রৌঢ়ের কল্পনাশক্তি ভিন্ন প্রকারের৷ পঞ্চাশ বছর আগে আঁকা শুরু করলে যে-ছবি আঁকতে পারতেন, পঞ্চাশ বছর পরে কি সেই ছবি তুলিতে এসেছিল! আসা সম্ভব নয়৷

রবীন্দ্রনাথ বুঝেছিলেন ক্যানভাসে তুলি নিয়ে আঁকিবুকি কাটলেই শিল্পী হওয়া যায় না৷ শিল্পীর সৃজনসত্তা একেবারেই অন্যরকম৷ কোনারক বা অজন্তার শিল্পকৃতি অনুসরণ করে ধাঁচে নারীশরীর আঁকলেই তা ভাস্কর্য বা ছবি হয় না৷ পাশ্চাত্যদেশ থেকে আসা ছবি-আঁকার টিচাররা ছবি নির্মাণ করতে পারেন, কিন্তু পারেন না শিল্পসৃষ্টি করতে৷ রূপ এক বহুমুখী শব্দ৷ রূপের সংজ্ঞা নানারকমের৷ রূপ বলতে কোমল আর মধুরই নয়, কাঠিন্যেরও রূপ আছে৷ কঠোরেরও থাকে রূপ৷ যে শিল্পে শুধু সীতাই সুন্দর নয়, মন্থরাও সুন্দর, শূর্পনখাও সুন্দর৷ শিল্পে সব রূপই রূপ৷ রূপ-দেখা চোখ যা বলবে, সেই সত্যই সত্য, তার উপরে নয়৷

গানটা তখনও বেজে চলেছে নিজের মতো৷ গানটা কি শুনছে সৌম্য! সকালে সন্ধ্যাবেলায় নিত্য চলছে যে-খেলা, সেই খেলা আজ মধুর লাগছে না ঝড়ের রাতে যে-গর্জন চলছে, তাতে কতবার যে নিবে গেল বাতি, বদলে গেল মনের যাবতীয় ভাবনা৷ এখন শুধু সংশয় এসে ভিড় করছে মনের ভিতর৷
অলমিতি বসে আছে সৌম্যর গা ঘেঁসে, অথচ একটাও কথা বলছে না সৌম্য৷ অন্যদিন হলে বলত, ‘অলি, আমি বলে যাচ্ছি, তুই টাইপ করে দে৷’ আজ হঠাৎ—

তা হলে সৌম্য কি কিছু জানতে পেরেছে স্যারের সামনে তার মডেল হয়ে পোজ দেওয়া— এই ঘটনা সে আর স্যার ছাড়া কারও জানার কথা নয়৷ এমনকি স্যারের ঘরণি, সুরঞ্জনা ম্যামও যাতে না জানতে পারেন, সে–বিষয়েও সতর্ক ছিলেন স্যার৷ সেই ছবিগুলো কি এখনও স্যারের ঘরের কোথাও রাখা আছে? সেগুলো মুম্বাইয়ের কোনও হোটেলে যাওয়ার কথা৷ স্যার আশ্বাস দিয়েছিলেন, সেই ছবির মুখগুলো অলমিতির হবে না, অন্য কারও হবে। সেই মুখ কার মতো করে আঁকলেন স্যার। ছবিগুলো শেষ হওয়ার পর একবার দেখতে ইচ্ছে করছিল অলমিতির৷ সৌম্য কি কোনওভাবে জেনেছে তার মডেল হওয়ার কথা তাই কি তার এরকম বিপ্রতীপ ব্যবহার?
বারে বারে বাঁধ ভাঙিয়া বন্যা ছুটেছে৷
দারুণ দিনে দিকে দিকে কান্না উঠেছে৷

গানের কলিগুলো বারবার অলমিতিকে সংশয়িত করছে৷ গানটা অগেও শুনেছে, কিন্তু আজ তার অর্থ অন্যভাবে ধরা দিচ্ছে অলমিতির কানে৷ বারবার নদীবাঁধ ভেঙে বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে এলাকা৷ ভেসে যাচ্ছে মানুষের বসতি৷ কান্নার রোল উঠছে দিকে দিকে৷ হঠাৎ এরকম ব্যথার গান শুনছে কেন সৌম্য! এটা কি সৌম্যর মনের কথাও।

মাত্র কয়েকদিন সৌম্যর সঙ্গে তার দেখা হয়নি৷ কথাও হয়নি৷ মাঝে একদিন অলমিতি ফোন করেছিল, পরপর দু’বার৷ অনেকবার রিং হয়ে থেমে গিয়েছিল শব্দটা৷ অলমিতি ভেবেছিল হয়তো কোনও কাজে ব্যস্ত আছে সৌম্য৷ পরে নিশ্চয় রিংব্যাক করবে তাকে৷ কিন্তু করেনি৷

সৌম্য একটা বই পড়ছে, রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবির বই, ছবিগুলো দেখছে, কিছু ভাবছে, পরক্ষণে খটাখট শব্দে লিখছে:
‘লাল রঙের ব্যবহারে রবীন্দ্রনাথের এক বিশেষ প্রবণতা আছে৷ তিনি কখনও লাল বা লালচে পটভূমির মধ্যে একটি গাঢ় খয়েরি বা কালো সিলুয়েটে বসিয়ে দেন মানুষের আকারকে৷ আবার কখনও খয়েরি বা কালো পটভূমির মধ্যে স্থাপন করেন লাল বা লালচে মূর্তিকে৷’

অলমিতি পড়ছে লেখাটা, আর চোখ রাখছে সৌম্যর হাতে ধরা বইটিতে৷ রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবিগুলো দেখছে আর লিখে চলেছে তার ভাবনাগুলো:
‘রবীন্দ্রনাথের আরও একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়৷ তাঁর চিত্রিত রূপ কখনও অদ্ভুত, কখনও ভয়ংকর, কখনও সুন্দর৷ তাঁর নিসর্গ আবেগে ভ্যান গগের মতো এক্সপ্রেশনিস্ট শিল্পীর নিসর্গের কথা মনে পড়িয়ে দেয়৷ তাঁর লাল রঙের ব্যবহারও লক্ষ্যণীয়৷ একটি চিত্রে লাল রং পুরুষ মুখের মধ্যে কিছুটা আভাসিত হলেও আরও গভীরভাবে ছড়িয়ে গলা ও বুক জুড়ে— তার শার্টের রং, না ত্বকেরই রং তা এক বিতর্কের বিষয়৷ আর একটি আবক্ষ মূর্তিতে লালকে একটা ফর্মের মধ্যে আটক করে মুখের নীচের অংশে ঢুকিয়ে দেওয়া৷ অন্য একটি ছবিতে লাল রং মেয়েটার শাড়ির কোনাকুনি আঁচলের নীচে বন্দি৷ অন্য একটি ছবিতে লাল রঙের উপস্থিতি আরও হালকাভাবে মেয়েটির কাঁধের শাড়িতে৷ লাল রং মনে করিয়ে দেয় মাতিসের ছবি৷ মাতিসও ব্যবহার করেছেন অজস্র লাল রং৷ তাঁর ‘লার্জ ইনটেরিয়র ইন রেড’ ছবিতে গোটা ছবির প্রেক্ষাপট, দেওয়াল ও মেঝে জুড়ে একটিই লাল রং ব্যবহার করেছেন গাঢ়ভাবে৷ মাতিসের লাল রং সর্বত্রই অনেক বেশি উজ্জ্বল ও প্রত্যয়ী৷

লালের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা করতে গিয়ে তিনি হাজির করেন কিছু অন্য রংকেও৷
লাল রং পটময় ছড়িয়ে দেওয়া নয়, তবে লাল–কমলার যথেষ্ট ব্যাপ্তি ও দীপ্তি আছে৷ কোমর পর্যন্ত আঁকা নারীমূর্তিতে অঙ্কনদক্ষতা ও বিষাদগম্ভীর মুখের ভাব দৃষ্টি আকর্ষণ করে দর্শকের৷ পশ্চাদপটের সঙ্গে মূর্তির সম্পর্ক সুসমঞ্জস।

রবীন্দ্রভবনের একটি ছবিতে লাল রং আগুনের সংকেতবহ এবং দু-বাহু তোলা মেয়েটির সংরক্ত আকুতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত৷ মেয়েটির আগুনের শিখার মতো দীর্ঘায়িত শরীর হলদে-মেশানো লালের উপর গাঢ় বাদামি সিল্যুয়েট, সেই গাঢ় রঙের উপরে সরু লাল আঁচড় প্রোফাইলের কণ্ঠে বাহুযুগলের ও বসনের সীমারেখার জানান দেয়৷ মেয়েটি কি সতীদাহের আগুনে পুড়ছে, না কি পুড়ছে তার প্যাশনের আগুনে।’

সৌম্যর কাজের মাঝখানে ব্যাঘাত ঘটিয়ে অলমিতি বলল, এতক্ষণ বসে রইলাম, তুই একটাও কথা বলছিস না৷ আমাকে কি চলে যেতে বলছিস!
—তুই চলে যা৷ তোর স্যার হয়তো তোর জন্য অপেক্ষা করছেন৷
কথাগুলো মিসাইলের মতো কান ভেদ করে চলে গেল অলমিতির৷ বলল, তার মানে?
—তুই তো এখন স্যারের সঙ্গে ঘুরছিস৷ গেস্ট হাউসে থাকছিস৷

অলমিতির ভিতরে প্রবল প্রদাহ, বলল, তোকে কে বলল আমি স্যারের সঙ্গে থাকি৷
—আমার কাছে সব খবরই থাকে৷ তুই নিশ্চয় অস্বীকার করতে পারবি নে৷ এরপর আর তোর সঙ্গে রিলেশন রাখা সম্ভব না৷ বেস্ট হচ্ছে ব্রেকআপ৷

অলমিতি বিশ্বাস করতে পারছে না সৌম্যর কথা৷ চমকে উঠে বলল, ব্রেক আপ!
অলমিতি শুনছে গানটির শেষ কয়েকটি কলি:
ওগো রুদ্র, দুঃখে সুখে এই কথাটি বাজল বুকে—
তোমার প্রেমে আঘাত আছে নাইকো অবহেলা৷

(ক্রমশ)

অলঙ্করণ: সোময়েত্রী চট্টোপাধ্যায়