কবিতা গুচ্ছ

কাল্পনিক চিত্র

মায়ের
শুভ আগমনে
আসলাম সানী

মায়ের শুভ আগমনে
রোদ্র ঝরে পড়ে
সুনীল-শুভ্র আকাশ জুড়ে
মেঘ ইশারা করে

মা ছাড়া যে অনাথ আমরা
মা-ই শান্তি সুখ
দূর করে দেয় দুখ,


মায়ের আগমনেই চন্দ্র
জ্যোৎস্না ঢেলে দেয়
নদী-সাগর ঢেউয়ে ঢেউয়ে
জলকে বুকে নেয়
ওই তো লুফে নেয়

দেখলে মায়ের মুখ
এই প্রকৃতি উদার অপার
দেয় যে পেতে বুক,

আকাশ থেকে পাহাড় বেয়ে
মা যে আসে ওই
জগৎ জুড়ে আনন্দ আজ
ঢাক বাজে হই হই

 

পুজোর ছন্দ
দেবাশিস হাজরা

পঞ্চমীতে মন উচাটন
ষষ্ঠী এলেই বোধন!
ফিতে কেটে জাঁকজমকে
পুজোর উদ্বোধন!

সপ্তমীতে ভিড়ের গুঁতো
অষ্টমীতে রাত-ভোর!
দিশেহারা ছন্নছাড়া
বে-হিসেবি ঘোর!

নবমীতে জাপটে ধরে
আনন্দেরই ক্ষণ!
অশ্রুসজল বিজয়াতে
দেবীর বিসর্জন!

 

বরষা
ভুবন বন্দ্যোপাধ্যায়

আসমান মেঘে ঢাকা
বিদ্যুৎ চমকায়,
কড়্ কড়্ শব্দ করে
কে কাকে ধমকায়?

ঝম্ ঝম্ পড়ে জল
মাঠ সব ভরে,
ব্যাঙগুলো উল্লাসে
কলরব করে।

বৃক্ষ লতা হরষেতে
স্নান করে কতো,
ওদের মায়েরা কেউ
বকা দেয় না তো।

মাথায় ছাতিটা নিয়ে
ওই যায় চাষি,
ঘুরে ঘুরে দেখে মাঠ
মুখভরা হাসি।

মেঘবালিকার রূপ
জানালাটি খুলে,
আনমনে দেখে খুকু
সব কিছু ভুলে।

 

বৃষ্টিফোঁটায়
মিঠু মণ্ডল

মনখারাপের আকাশটা যেই
ভুবনডাঙার মাঠটাকে দেয় ছুঁয়ে
রিনিক ঝিনিক বৃষ্টি ফোঁটা
অঝোর ধারায় পড়ল যে তাই ভুঁয়ে।।

নীড়ের মাঝে বিহগ যত
গুটিসুটি বন্ধ তাদের ডানা
সূয্যিমামার ঘুম পেয়েছে
দিনের বেলায় বাইরে যাওয়ায় মানা।।

কেতকী আর কেয়া বকুল
ভীষণ খুশি জলের ফোঁটা মেখে
ছোট্ট শিশু সাদা পাতায়
সেসব কথাই আনন্দেতে লেখে।।

মাথার উপর ডোঙা রেখে
চাষের ক্ষেতে চলল যে ওই চাষি
রুয়ে দিতে ধানের চারা
সোনালি ধান ফলবে রাশি রাশি।।

জল ছপছপ দাঁড়টি বেয়ে
খেলাঘরের নৌকো যখন আসে
মেঘমল্লার সুর তুলে দেয়
মুনুর দু’চোখ স্বপ্ন ঘোরে ভাসে।।

 

একদিন
সুশান্ত সেন

ছড়া লেখা সহজে
ঢোকে না যে মগজে
সারাদিন মিল খুঁজে যাই।

বোসেদের পুকুরে
রোজ দেখি দুপুরে
বড়ো কাতলাটা মারে ঘাই।

গুনগুন গানেতে
সুর জাগে প্রাণেতে
তোমাদের কাছে পেতে চাই।

যত সাঁঝ বাড়ছে
ঘাড় দেখি নাড়ছে
বিশু গোয়ালার সাদা গাই।