তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
৮.
মম দুঃখের সাধন যবে করিনু নিবেদন তব চরণতলে
রাত্রি প্রায় দশটা বাজে, এরকম রাতবেলায় যোধপুর পার্কে তেমন কোলাহল থাকে না৷ যা থাকে সারাক্ষণ গাড়ির পিঁক পিঁক৷ এখানকার রাস্তাগুলো সব ঝাঁ–চবকচকে না–হলেও মোটামুটি পরিষ্কার৷ সারাদিন পর এ–পাড়ার বাড়ির বা ফ্ল্যাটের মানুষজন কাজ সেরে ফিরছে৷ বা কেউ এসেছিলেন, তিনি চলে যাচ্ছেন৷
চিত্রজিৎ ফোনে কথা বলছিল, সেসময় ফ্ল্যাটের ডুপ্লিকেট চাবি ঘুরিয়ে ঘরে ঢুকল সুরঞ্জনা৷ চিত্রজিতের দরজা খোলাই ছিল, তার দরজার সামনে এসে সামান্য অবাক–কণ্ঠে সুরঞ্জনা জিজ্ঞাসা করল, তুমি প্রদর্শনী থেকে কখন ফিরলে?
চিত্রজিৎ কান থেকে মোবাইল সামান্য সরিয়ে বলল, আমি যাইনি৷
—যাওনি! সুরঞ্জনা কিছুক্ষণের জন্য চিত্রার্পিত, তারপর ভুরুতে কোঁচ ফেলে ঢুকে গেল নিজের ঘরে৷
চিত্রজিৎ আবার মনঃসংযোগ করল ফোনালাপে৷
ফোন করেছেন আর্ট–ডিলার রাকেশ মিত্র৷ রাকেশ বোঝানোর চেষ্টা করছেন ‘ইনটলারেন্স’ সিরিজের ছবি নিঃসন্দেহে উঁচু–মানের, কিন্তু চিত্ররসিকরা বেশি উৎসাহী ন্যুড–সিরিজের ছবি দেখতে৷ এই ছবিগুলোর অর্ডার দিয়েছেন মুম্বাইয়ে নির্মীয়মাণ এক ফাইভস্টার হোটেলের মালিক৷ হোটেলের রিসেপশন, ডাইনিং থেকে শুরু করে প্রতি রুমে টাঙাতে চান নানা পোজের ছবি৷ বুঝতেই পারছেন৷ তার জন্য ভালো টাকা দেবে শিল্পীকে৷
চিত্রজিৎ বোঝানোর চেষ্টা করছিল টাকাটাই তো সব নয়৷
রাকেশ মিত্র বলনেন, আপনি এত পিউরিটান কেন! যে কোনও একজিবিশনে গেলে দেখবেন ন্যুড পেইন্টিং বা ন্যুড স্কাল্পচার যেখানে, সেখানেই ভিড় বেশি৷ পুরুষ হোক, নারী হোক, সবাই ফিমেল বডির গঠন দেখতে বেশি আগ্রহী৷ শিল্পীরাও এ ধরনের ছবি আঁকতে চান, কারণ তাঁর উদ্দেশ্য আরও বেশি দর্শককে তাঁর হাতের কারুকাজ দেখানো৷ আপনি নিশ্চয় জানেন খ্যতিমান শিল্পী প্রকাশ কর্মকারের বাবা কলকাতা আর্ট স্কুলে অধ্যাপনা ছাড়াও নিজের বাড়িতে স্টুডিও করে সেখানে ন্যুড স্টাডির ক্লাস করতেন৷
চিত্রজিৎ জানে সে–কথা, তবু ইতস্তত করছিল সাত–পাঁচ ভেবে৷
রাকেশ মিত্র আবার বললেন, বিখ্যাত শিল্পী রবি বর্মা নিজের স্ত্রীকেই মডেল করে বহু ছবি এঁকেছেন যা এখন জগৎবিখ্যাত৷
চিত্রজিৎ জানে সেই ইতিহাস৷
রাকেশ মিত্র আরও চাপ সৃষ্টি করতে বললেন, আপনি রাজি না–হলে আমি অন্য শিল্পীর সঙ্গে কথা বলব৷ তবে আপনাকে জানিয়ে রাখি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পীরা প্রায় সবাই ন্যুড পেইন্টিং বা ন্যুড স্কাল্পচার করেছেন৷ তাতে লজ্জা বা কুণ্ঠার কিছু নেই৷ আপনাকে আর একদিন ভাবার সময় দিলাম৷
ফোন অফ করে চিত্রজিৎ ডুব দিল গভীর ভাবনায়৷ তার যতদূর জানা আাছে সুরঞ্জনা এ–বিষয়ে খুব পিউরিটান৷ প্রধানত তার কথা ভেবেই দোলাচলে দোলা৷
সেদিন রাতে ডিনারের টেবিলে সুরঞ্জনা এল না৷ দেখল তার জন্য ভাত–তরকারি আলাদা করে ঢাকা৷ অনুমান করছে চিত্রজিৎ রবীন্দ্রসদনের অনুষ্ঠানে না–যাওয়ায় খুব ক্ষুব্ধ৷
অতএব একাই রাতের খাওয়া সেরে ঘুমোতে গেল তার ঘরে৷ বিছানায় শুয়ে মনে হল সুরঞ্জনার সঙ্গে তার আরও দূরত্বের সৃষ্টি হয়ে গেল রবীন্দ্রসদনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে৷ সুরঞ্জনা বেশ শ্লাঘা অনুভব করছে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে বলে৷ তা হলে চিত্রজিৎই বা রাকেশ মিত্রের প্রস্তাব গ্রহণ করবে না কেন!
সেই রাতে তার ঘুম খুব নিবিড় হল না৷ কিছু হ্যাঁ ও কিছু না–এর মধ্যে দোদুল্যমানতায় কেটে গেল একটা রাত৷
পরদিন সকালে চা বা ব্রেকফাস্টের সময়ও দেখা মিলল না সুরঞ্জনার৷ চিত্রজিৎ ব্যস্ত হয়ে পড়ল নিজের কাজে৷ তাকে কোনও দিন ন্যুড সিরিজ আঁকতে হবে তা ভাবনায় ছিল না তার৷ তারা যখন আর্ট কলেজে ছবি–আঁকায় হাত পাকাচ্ছিল, তাদের এক অধ্যাপক বলেছিলেন, শিল্পীকে মনে রাখতে হবে তিনি স্রষ্টা৷ যেমন ইচ্ছে তেমন আঁকবেন তা ঠিক নয়৷ নগ্নতারও একটা উদ্দেশ্য থাকে৷ শিল্প ধ্যানযোগে তাকে মুক্ত করবেন অশ্লীলতা থেকে৷ শিল্পী যেন কোনও ভাবেই রুচিহীন না হয়ে পড়েন৷ নারীশরীর বস্ত্র দিয়ে মুড়ে দিলেও তা হয়ে উঠতে পারে অশ্লীল৷ বিশুদ্ধ সৃষ্টি হবে অশ্লীলতামুক্ত৷ শিল্পের কোনও আলাদা ধর্ম হয় না৷ শিল্পী রত থাকবেন সৃষ্টির ধর্মে৷
কথাগুলো বার দুই বিড়বিড় করে ঘুরে গেল তার ঠোঁটে৷ ন্যুড ছবি আঁকতে হবে, তবে তা যেন কোনও মতেই অশ্লীল না হয়৷
বেশ দুরূহ কাজ৷ কিন্তু তার জন্য চাই উপযুক্ত মডেল৷
অলমিতিকে প্রস্তাবটা দিয়েছে চিত্রজিৎ, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাড়া পাওয়া যায়নি তার৷
চিত্রজিৎ পেশাদার মডেল নিয়ে কাজ করতে পারে, কিন্তু তাদের শরীরী ভাষার মধ্যে এমন একটা কাঠিন্য থাকে, এমন নির্বিকার উপস্থিতি, এমন জীবন্মৃত চাউনি যে, তাতে ছবির মধ্যে কোনও গতি আনা যায় না৷ চিত্রজিৎ চাইছে একেবারে আনকোরা মুখ, অনাবৃত হওয়ার কারণে তার মুখাবয়বে ফুটে উঠবে লজ্জা, শিহরন, অস্বস্তিও৷
চিত্রজিতের স্মরণে এল ইতালীয় শিল্পী আমেদো মদিগ্লিয়ানির কথা৷ ভ্যান গখ, তুলোজ, লত্রেকের মতো বোহেমিয়ান জীবনযাপন করতেন আমেদো, কিন্তু তাঁর ছবির বিষয় ‘ভালোবাসার নামই জীবন’৷ তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র ‘জীবনকে ভালোবাসো, ভালোবাসো জীবনকে’৷ তাঁর অভীষ্ট ছিল আর এক ইতালীয় শিল্পী পল সেজানের পথ অনুসরণ করা৷ সেজানের কাছে তিনি শিখেছিলেন কীভাবে রং সাহায্য করে ফর্ম আর স্পেস গড়ে তুলতে৷ কীভাবে রঙের তারতম্য করে গড়ে তোলা যায় তল৷
মদিগ্লিয়ানি তাঁর ছবির জন্য ব্যবহার করেছিলেন অল্পবয়সি প্রেমিকা জেনে হেবুতোরকে৷
চিত্রজিতের ভাবনার মধ্যে একই সঙ্গে চা ও সংবাদপত্র এসে পৌঁছোল টেবিলে৷ চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে খুলে বসল সংবাদপত্রের পৃষ্ঠা৷ কৌতূহলবশত চোখ চলে গেল সংস্কৃতির পৃষ্ঠায়৷ গতকালের অনুষ্ঠানের একটা আলোচনা বেরিয়েছে, যদিও সংক্ষিপ্ত লেখা, তাতেই মনের মধ্যে পিঁপড়ের ছোট্ট একটা কামড়৷ ‘রবি–অনুরাগ’ সংস্থার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘বসন্তপঞ্চমী’ অনুষ্ঠানে ভূয়সী প্রশংসা সুরঞ্জনা বসু ও তমোনাশ গুপ্তের সংগীত পরিবেশনের৷ আলোচক এও বলেছেন এই নতুন জুটির গান দর্শকমনে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সুচিত্রা মিত্র ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জুটির কথা৷ অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ নজর কেড়েছে দ্বৈতকণ্ঠের গানগুলি৷ দুই শিল্পীর পাশাপাশি ছবিও ছেপেছে আলোচনার একপাশে৷
সংবাদপত্রের পৃষ্ঠা মুড়ে একপাশে সরিয়ে রেখে চিত্রজিৎ কিছুক্ষণ আনমনা৷ কুড়ি বছর ছবি এঁকে চিত্রজিৎ যে–খ্যাতি অর্জন করতে পারেনি, সুরঞ্জনা তার অনেক পরে শুরু করেও এগিয়ে গেছে অনেকখানি৷ বিশেষ করে গতকালের অনুষ্ঠানের পর সুরঞ্জনা এখন একজন স্টার৷
ভাবনাটা টোকা দিয়ে সরিয়ে পরবর্তী ছবির বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করতে চাইল চিত্রজিৎ৷ হঠাৎ পাশের ঘর থেকে ভেসে এল সুরঞ্জনার কণ্ঠ:
মম দুঃখের সাধন যবে করিনু নিবেদন তব চরণতলে
শুভলগন গেল চলে,
প্রেমের অভিষেক কেন হল না তব নয়নজলে৷
চিত্রজিতের মনোনিবেশে ছেদ পড়ল সহসা৷ এটাই অবশ্য তাদের রোজনামচা৷ এ–ঘরে চিত্রজিৎ ইজেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি আঁকে, পাশের ঘর থেকে আসে সুরঞ্জনার গানের কলি৷ তার ভাবনার জাল ছিন্ন হয় এভাবেই৷ রোজই হয়৷ সেটা উপভোগ করে চিত্রজিৎ৷ সুরঞ্জানার গানের সঙ্গে তার এরকমই একটা যোগসূত্র তৈরি হয়ে গেছে সেই বিয়ের পর থেকে৷
আসলে রবীন্দ্রনাথের গানের সুরে এমন একটা মাধুর্য আছে যা একজন শিল্পীর মনের গহনে গিয়ে তাকে ঋদ্ধ করে প্রতি মুহূর্তে৷ গানের সুরের সঙ্গে চিত্রজিতের তুলি এগিয়ে চলে রোজ৷ তার তুলি তখন কথা বলে৷
কিন্তু আজ এই মুহূর্তে তার মনে উদ্রেক হল এক বিপ্রতীপ অনুভূতির৷
একবার ভাবল দরজাটা বন্ধ করে দেবে কি না৷ দিতে গিয়েও থেমে গেল হঠাৎ৷ কেন আজ সুরঞ্জনা এই গানটিই গাইছে তা বিস্মিত করল তাকে৷
এই গানটি প্রেমের গান৷ সেই প্রেমের প্রাপক প্রেমাস্পদ, না ঈশ্বর তা বুঝে নিতে হবে শ্রোতাকে৷ সেই প্রেমাস্পদকে উদ্দেশ করে গায়কের নিবেদন এই গানে৷ গানটির প্রতি ছত্রে আছে বিষাদের সুর৷ কেন সুরঞ্জনা এই গানটিই করছে আজ, চিত্রজিৎ গতকাল তার অনুষ্ঠানে যায়নি বলে সেই অদৃশ্য মানুষটির চরণতলে দুঃখের সাধনা নিবেদন করছেন গায়ক৷ শুভলগ্ন চলে গেল, কিন্তু দুঃখের অবসান ঘটিয়ে চোখের জলে হল না প্রেমের অভিষেক।
না কি সুরঞ্জানার লক্ষ্য চিত্রজিৎ নয় অন্য কেউ।
কেন সুরঞ্জনা চাইছে প্রেমের অভিষেক!
সুরঞ্জনা তখন চলে গেছে অন্তরায়:
রসের ধারা নামিল না, বিরহে তাপের দিনে ফুল গেল শুকায়ে—
মালা পরানো হল না তব গানে৷
এ এক চরম আর্তি৷ রবীন্দ্রনাথের কলমে ঝরে পড়ছে অপার বিষণ্ণতা৷ প্রেমিকা তখন প্রবলভাবে আকুল প্রেমলাভের জন্য৷ প্রেম চাইছে, অথচ প্রেমের বারি সিঞ্চিত না–হওয়ায় নামল না রসের ধারা৷ বিরহের তাপের দিনে শুকিয়ে গেল ফুল৷ অথছ এখনও তার গলায় পরানো হল না মালা৷
চিত্রজিৎ বিস্মিত হচ্ছিল৷ এত বছরের বিবাহিত জীবনে সুরঞ্জনার এই আকুতি, এই উচ্চারণ এতদিন তেমনভাবে গুরুত্ব দেয়নি৷ আজ, এই মুহূর্তে মনে হল এই গানের বোধ হয় অন্য তাৎপর্য৷
সুরঞ্জনা তখন পৌঁছেছে সঞ্চারীতে:
মনে হয়েছিল দেখেছিনু করুণা তব আঁখি নিমেষে
গেল সে ভেসে ৷
কবির মনে হয়েছিল প্রেমিকার চোখে দেখেছিলেন করুণার ছাপ যা একসময় ভেসে গেছে কোন অনন্তে৷ ভালোবাসা শাশ্বত৷ ভালোবাাস অবিনশ্বর৷ ভালোবাসার জন্যই তো বুক উজাড় করে দেওয়া ভালোবাসা৷
পরক্ষণে আভোগে সুরঞ্জনার উচ্চারণ:
যদি দিতে বেদনার দান, আপনি পেতে তারে ফিরে
অমৃতফলে৷৷
গানটি শুনতে শুনতে আনমনা হয়ে যাচ্ছিল চিত্রজিৎ৷ এই গানটা একসময় প্রায়ই গাইত সুরঞ্জনা৷ মাঝে মাঝে কৌতুকের ছলে জিজ্ঞাসা করত কার উদ্দেশে গাইছে সুরঞ্জনা, তার কি অন্য কোনও প্রেমিক আছে সুরঞ্জনা হাসত, উত্তর দিত না৷ এখন খুব কমই গাইতে শোনে৷ আজ বহুদিন পরে হঠাৎ এই গানে কেন এত মনোযোগ। সুরঞ্জনার প্রেমাস্পদ যদি বেদনার দানের বিনিময়ে তাকে অমৃতফলের মতো প্রেম ফিরিয়ে দেন তা হলেই সার্থক তার প্রার্থনা।
গানটি থেমে গেল কিছুক্ষণ পর৷ সুরঞ্জনার একটা ফোন এসেছে৷ কথা বলছে নিচু গলায়৷ হয়তো কালকের অনুষ্ঠানের কোনও শ্রোতার উচ্ছ্বাস৷ না কি তার গানের সঙ্গী তমোনাশের।
একেবারে নতুন গায়ক তমোনাশ৷ অথচ প্রথম অনুষ্ঠানেই নজর কেড়েছে দর্শকের৷ সংস্কৃতির সব শাখার মধ্যে গানের সম্মোহনী শক্তি অনেক বেশি৷ গান পৌঁছোয় অনেক বেশি মানুষের কাছে৷ খুব সাধারণ মানের মানুষও গানের একনিষ্ঠ শ্রোতা৷ সেই তুলনায় ছবির সমঝদার খুব কম৷
আর্ট–ডিলার রাকেশ মিত্রর কথাগুলো মাথায় হাতুড়ির মতো ঘা দিচ্ছে বারবার, মি. চৌধুরী, এরকম একটা দামী অফার ফিরিয়ে দেবেন না, প্রচুর টাকা দিতে চাইছে হোটেল–মালিক৷ আপনি এতদিন যা উপার্জন করেছেন তা ছাপিয়ে যাবে এবার৷ তার উপর আপনার খ্যাতিও বাড়বে একটা বিশেষ মহলে৷ আরও অফার পাবেন একে–একে৷
অনেক ভেবেচিন্তে মোবাইলে রিং করল অলমিতিকে৷
ফোনটা অনেকক্ষণ বেজে–বেজে থেমে গেল একসময়৷
চিত্রজিতের অভিব্যক্তিতে সামান্য বিষাদ৷ নিশ্চয় অলমিতি বিষয়টা ভালো মনে নেয়নি৷ তা হলে কি কোনও পেশাদার মডেলের সাহায্য নেবে।
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোময়েত্রী চট্টোপাধ্যায়