তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
চিত্রজিৎ
২.
আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়
সামনে টাঙানো মস্ত ক্যানভাসে তুলি বোলাচ্ছিল চিত্রজিৎ৷ ব্রাহ্ম মুহূর্তের এই কুয়াশা–মেশানো সময়টা তার ছবি আঁকার জন্য প্রকৃষ্ট৷ ক্যানভাসে ক্রমশ ফুটে উঠছে একটা অগোছালো ঘরের ছবি৷ ঘরটা যেন বেঁকে গেছে অনেকখানি, ভূমিকম্প হলে যেমন হেলে যেতে পারে ঘর৷ সেই সঙ্গে ঘরের টেবিলে থাকা কিছু বই, একটা পেনদানি, দুটো পেপারওয়েট সবই ছিটকে পড়েছে মেঝের উপর৷ সেগুলি নিচু হয়ে তুলতে চাইছে এক যুবতী৷ পরনে উজ্জ্বল হলুদ রঙের শাড়ি, কিন্তু কাঁধ থেকে স্থানচ্যুত শাড়ির আঁঁচল, নিশ্চয়ই ভূমিকম্পের কারণেই৷ শাড়ির ঔজ্জ্বল্যে তাকে খুবই চোখে পড়ছে ছবির মধ্যে, কিন্তু অভিব্যক্তিতে প্রবল আতঙ্ক৷
কাত হয়ে থাকা টেবিলের উপর আরও দুটো পেপারওয়েট তখনও রয়েছে, যে কোনও মুহূর্তে পড়ে যাবে ছিটকে৷ হয়তো অপেক্ষা করছে ভূমিকম্পের পরবর্তী ধাক্কার জন্য৷
সমস্ত ছবিতে একটা গতির সঞ্চার করার চেষ্টা করছে চিত্রজিৎ৷
কাল সন্ধের পর ঘরে ফেরার পথে একটা অদ্ভুত ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছিল তার সর্বশরীর৷ আজ সকালে উঠেই এরকম একটা ছবি হঠাৎ মাথায় খেলে গেল তার৷ গতকাল অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে এক অনুজ–শিল্পীর ছবির প্রদর্শনী দেখে ফেরার সময় চোখ আটকে গেল রবীন্দ্রসদনের প্রবেশপথের একদিকে বিশাল একটা হোর্ডিংয়ে৷ ‘রবি–অনুরাগী’ সংস্থার উদ্যোগে ‘বসন্তপঞ্চমী’ উৎসবের চোখ–ধাঁধানো বিজ্ঞাপন৷ দেখলেন সুরঞ্জনা বসুর বড়ো একটা ছবি, বাসন্তী রঙর শাড়ি–ব্লাউজে হাসি–হাসি মুখ, তার কিছু পাশেই সান গ্লাস পরা আর এক সুদর্শন যুবকের ছবি৷ তার নীচে লেখা বসন্তপঞ্জমী উপলক্ষ্যে বিশাল রবীন্দ্রগানের আয়োজন৷ অংশগ্রহণে এ–সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সুরঞ্জনা বসু, সেই সঙ্গে নবীন শিল্পী তমোনাশ গুপ্তর সাড়া–জাগানো প্রথম প্রবেশ৷ টিকিটের মূল্য––
টিকিটের মূল্য দেখেও চিত্রজিতের দু–চোখে বিস্ময়৷ রবীন্দ্রসংগীতপ্রেমী সুপারহিট হিন্দি সিনেমার চেয়েও বেশি মূল্য দিয়ে টিকিট কিনবে সুরঞ্জনা বসুর গান শুনবে বলে।
চিত্রজিৎ গত কুড়ি–বাইশ বছর ধরে বিশল–বিশাল ক্যানভাসে জলরং তেলরঙের ছবি এঁকেও সেভাবে খ্যাতি অর্জন করতে পারেনি যা সুরঞ্জনা অর্জন করেছে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করে
পা–দুটো এক মুহূর্ত টলে গিয়েছিল চিত্রজিতের৷
ফ্ল্যাটে ফিরে ভালো করে তাকায়নি সুরঞ্জনার দিকে৷ সুরঞ্জনা অবশ্য সে–বিষয়ে খেয়াল না–করেই যথারীতি তাকে চা করে দিয়েছিল, রাতে ডিনারে বসেছিল যেমন প্রতিদিন বসে৷ কিন্তু হয়তো অবাক হচ্ছিল চিত্রজিৎকে গুম হয়ে থাকতে দেখে৷
তবে আজ সকালে যখন চিত্রজিৎ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল সুরঞ্জনার অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তাব, নিশ্চয় অনুমান করেছে কিছু, না কি আন্দাজ করতেও পারেনি, হয়তো সুরঞ্জনা নিজেও এখনও জানে না তার ছবি দিয়ে অত বড়ো হোর্ডিং ঝুলছে রবীন্দ্রসদনের গেটের প্রায় পাশেই৷
সকালে ছবি আঁকতে শুরু করে তাই ভূমিকম্পের ভাবনাটা তুলিতে ভর করল হঠাৎ৷
কিন্তু এই সিরিজে নতুন কোনও ছবি আঁকা যাবে না কি—
চিত্রজিৎকে আবারও এক ধাক্কা দিয়ে পাশের ঘর থেকে ভেসে এল কয়েক কলি গান:
‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়’
সেই মুহূর্তে সুরঞ্জনার গানের কলিটা চিড় ধরাল তার মনঃসংযোগে৷ সুরঞ্জনার তো বসন্ত পঞ্চমীর অনুষ্ঠানে বসন্তের গান গাওয়ার কথা, হঠাৎ এই কলিগুলো তার গাওয়ার দরকার হল কেন। এই গানটা তো আছে ‘অরূপরতন’ নাটকে—
বিক্রম বলছে ঠাকুর্দাকে, যে ধরা দেবে না তার কাছ ধরা দিয়ে লাভ কী বলো?
উত্তরে ঠাকুর্দা বললেন, তার কাছে ধরা দিলে একই সঙ্গে ধরা দেওয়া হয়, ছাড়াও পাওয়া যায়৷
এ–গানের ব্যঞ্জনা তো অন্য৷ সুরঞ্জনা কি গাইছে চিত্রজিতের উপর অভিমান করে—
‘আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি পথে যে জন ভাসায়৷’
চিত্রজিৎ শুনছিল মন দিয়ে৷ না কি সুরঞ্জনা গাইছে রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ করে, রবীন্দ্রনাথই কি তাকে ভাসিয়েছে পথে!
সুরঞ্জনা তখন গাইছে:
‘যে জন দেয় না দেখা, যায় যে দেখে— ভালোবেসে আড়াল থেকে—
আমার মন মজেছে সেই গভীরের গোপন ভালোবাসায়৷’
যে দেখা দেয় না, আড়াল থেকে ভালোবাসে, তিনি কে আর হবেন, তাঁর গভীরের গোপন ভালোবাসায় মজেছে সুরঞ্জনার মন।
গানের দিকে মন গেলে চিত্রজিতের আজ আর ছবি আঁকা হবে না৷
চিত্রজিৎ তো এতকাল সুরঞ্জনার গান শুনতে শুনতেই ছবি এঁকেছে৷ বরাবর বলেছে, ‘তোমার গানের কলিগুলোই আমাকে ছবি আঁকার প্রেরণা দেয়৷’ সুরঞ্জনা বলেছে, প্রেরণা কি দেয় আমার গান, প্রেরণা দেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ৷ তিনি যেমন আমার জীবনকে রূপে–রসে–রঙে সমৃদ্ধ, ঐশ্বর্যশালী করে তোলেন প্রতি মুহূর্তে, তেমনই অন্তরাল থেকে শক্তি জোগান তোমাকেও৷
তুলি থামিয়ে দোলাচলে পড়ল চিত্রজিৎ৷ আজই হঠাৎ এই গান গাইতে শুরু করল সুরঞ্জনা।
চিত্রজিতের ব্যবহার, আচরণ নিশ্চয় সুরঞ্জনাকে বিস্মিত করছে, হয়তো বুঝছে, হয়তো বুঝছে না৷ তবে বুঝে যাবে শিগগির৷
সুরঞ্জনা কি জানে এই সর্বনাশের প্রকৃত অর্থ কী? ‘সর্বনাশ’ শব্দটির মধ্যে নিহিত আছে একটা সূক্ষ্ম ব্যঞ্জনা যা মন ও শরীরের সঙ্গে জড়িত৷ এই সর্বনাশের ইঙ্গিত বিদ্ধ করছে দেহকে৷ ‘সর্বনাশ’ এখানে ব্যবহৃত অন্য অর্থে৷ তাকেই নিজের করে পাওয়া, তাই পথ চেয়ে বসে থাকা৷ এই সর্বনাশকে প্রার্থনা করা হচ্ছে৷ এই সর্বনাশ আসলে নিজেকে নিঃশেষ করে উৎসর্গ করার অহংকার৷ প্রকৃত প্রেম তো তা-ই৷
তা হলে কি কাউকে প্রেম নিবেদন করছে সুরঞ্জনা?
কাল বিকেলে দেখা সান গ্লাস পরা যুবকটির মুখ ভাসছে চিত্রজিতের মগজে৷
এমন বিসদৃশ ভাবনায় চিত্রজিৎ যখন দোলাচলে, ঠিক তখনই সুরঞ্জনা গাইতে শুরু করল:
‘কেটেছে একেলা বিরহের বেলা আকাশকুসুমচয়নে৷
সব পথ এসে মিলে গেল শেষে তোমার দুখানি নয়নে৷’
গাইতে গাইতে কীরকম তন্ময় হয়ে যেত সুরঞ্জনা, হঠাৎ একদিন চিত্রজিৎ জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘এই নয়নদুটি কার?’ চিত্রজিৎ ভেবেছিল সুরঞ্জনা বলবে, ‘কার আবার, তোমার’, কিন্তু তাকে অবাক করে সুরঞ্জনা বলেছিল, কার আবার যখনই রবীন্দ্রনাথের গান গাই, আমার মানসপটে সর্বক্ষণ বিরাজ করেন রবীন্দ্রনাথ৷
চিত্রজিৎ সেদিন প্রথম ধাক্কা খেয়েছিল, তার আগে পর্যন্ত রবীন্দ্রগান গাইলে সুরঞ্জনা বলত, ‘যখনই ‘তুমি’ শব্দটা গানের মধ্যে আসে, তোমার মুখটাই মনে পড়ে’, এবার তা বলল না, বরং আরও বলল, যে একবার রবীন্দ্রগানের প্রেমে পড়েছে তার সমস্ত মেধামজ্জা জুড়ে শুধু রবীন্দ্রনাথ আর রবীন্দ্রনাথ৷
চিত্রজিৎ আর কিছু বলেনি৷ সেইদিন থেকে উপলব্ধি করেছে সুরঞ্জনার মনের ভিতরে তার জন্য যে–জায়গাটা ছিল, এখন আর নেই৷ এখন––
হয়তো অনেকদিন আগেই রবীন্দ্রনাথের গলায় মালা পরিয়েছে৷ চিত্রজিৎ অনুমান করতে পারেনি৷ কিন্তু কথাটা চিত্রজিৎকে না–বললেই ভালো করত৷
ক্ষুব্ধ চিত্রজিৎ তার ক্যানভাসের উপর দিনে দিনে মনঃসংযোগ করেছে আরও৷ পরে ভেবেছে হয়তো ওটা কথার কথা৷ যারাই নিবিড়ভাবে রবীন্দ্রচর্চা করেন, তাঁরা রবীন্দ্রনাথকে স্থান দেন ঈশ্বরের জায়গায়৷ সুরঞ্জনাও তেমনই মালা পরিয়েছে ঈশ্বর রবীন্দ্রনাথকে৷
তবু মনের ভিতর কোথাও একটা আলপিন ফুটে রইল যার দ্রুত উপশম হল না৷
তার পর থেকে যখনই সুরঞ্জনার গানের মধ্যে ‘তুমি’ শব্দটা আসে, চিত্রজিতের ভুরুতে ভাঁজ পড়ে৷ সুরঞ্জনা তখন গেয়ে চলেছে:
‘বাহির আকাশে মেঘ ফিরে আসে, এল সব তারা চকিতে৷
হারানো সে আলো আসন বিছালো শুধু দুজনের আঁখিতে৷’
ক্যানভাস থেকে তুলি তুলে নিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে গেল চিত্রজিৎ৷ ‘চিত্রাঙ্গদা’ মঞ্চস্থ হওয়ার দিনটির কথা মনে পড়ে গেল৷ সুরঞ্জনা গেয়েছিল চিত্রাঙ্গদার গানগুলি, অর্জুনের গান তারই সংগীতগুরু আশিস রায়৷ গানগুলি যখন সুরঞ্জনা তুলছিল, সংগীতগুরু বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ এই গানটি লিখেছিলেন ‘সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে’ গানটির ছন্দ লক্ষ্য করে৷ ‘চিত্রাঙ্গদা’ লেখার কয়েক বছর আগে ‘সেদিন দুজনে’ গানের সঙ্গে একটি যুগ্মনৃত্য রচনা করা হয়৷ এই নাচটি যখন ‘চিত্রাঙ্গদা’য় রাখার জন্য বলা হয়, রবীন্দ্রনাথ একই ছন্দ বজায় রেখে ‘কেটেছে একেলা’ গানটি লিখে দিয়েছিলেন৷ চিত্রাঙ্গদা ও অর্জুনের প্রেম পৌঁছোল এক অনির্বচনীয় উচ্চতায়৷ প্রকৃতি তার আনন্দকে ছেড়ে দিল তার ধর্ম সাধনার পথে৷ দু’জনেই অনুধাবন করেছে মিলন ও বিরহ দুয়ে মিলেই প্রেমের পরিপূর্ণ রূপ৷ তখনই দু’জনে একসঙ্গে গেয়ে উঠেছিল এই গান৷
আজ সহ্য হচ্ছিল না গানটা৷ তুলিটা তার ঘরের টেবিলের উপর নামিয়ে রেখে দরজাটা বন্ধ করে দিল একটু শব্দ করেই৷
ঘরের ভিতরটা এখন প্রায় শান্ত, নিঃশব্দ৷ দরজার শব্দ করে বন্ধ হওয়াটা কি সুরঞ্জনার কানে গেছে? সুরঞ্জনা কি বিস্মিত চিত্রজিতের এই ব্যবহারে?
দরজা বন্ধ করে বাইরের শব্দের দিকে উৎকর্ণ হল চিত্রজিৎ৷ তার সশব্দে দরজা বন্ধ করার কারণে কি সুরঞ্জনা গান বন্ধ করে দিল? বরাবর তার দরজা খোলাই থাকে, আজই হঠাৎ—
অন্যমনস্কতা কাটিয়ে চিত্রজিৎ বুঝল সুরঞ্জনা গান থামিয়ে উঠে গেছে, নিশ্চয় হাউসকুক এসে গেছে, তাকে নির্দেশ দিতে৷
চিত্রজিৎ আবার মনঃসংযোগ করল তার ক্যানভাসে৷ সেই মুহূর্তে একটা ফোন এল চিত্রজিতের মোবাইলে৷ ফোন অন করে বিষয়টা শুনে কিছুক্ষণ চুপ কর রইল চিত্রজিৎ৷ আবার একটা একক প্রদর্শনী করার কথা বলছেন আর্ট–ডিলার রাকেশ মিত্র৷ বললেন, একটা টার্গেট রাখুন, মি. মিত্র৷ ধরুন আগামী মে মাসের মাঝামাঝি৷ আমি অ্যাকাডেমিতে হল বুক করে দিচ্ছি৷
চিত্রজিৎ তাঁকে নিষেধ করে বলেছে, এত তাড়াতাড়ি পারব না৷ নতুন একটা সিরিজ আঁকার প্ল্যান করেছি, কিন্তু আগে শুরু করি৷
—কী বিষয় ভেবেছেন?
—সিরিজটার নাম ‘ইনটলারেন্স’৷
রাকেশ মিত্র বুঝতে চাইলেন, বিষয়টা আদতে কী?
—যখন কোনও কিছু সহ্যের অতীত হয়ে যায়৷
রাকেশ মিত্র তখনও ধন্দে, মানে,
—আগে কয়েকটা ছবি এঁকে নিই, মি. মিত্র৷
সত্যিই তখনও কিছু ভাবেনি চিত্রজিৎ? আজকের ছবিটা হঠাৎ মাথার মধ্যে ছুঁয়ে গেল৷
কিন্তু তার পরের ছবি কী হবে, এখনও এ–বিষয়ে কোনও চিন্তাভাবনা নেই৷ তার ভিতরে এই মুহূর্তে প্রবল অস্থিরতা৷ অনেকদিন ধরেই তার মনে হচ্ছিল সুরঞ্জনা একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে তার কাছ থেকে৷ কাল বিকেল থেকে সেই সন্দেহ আরও তীব্রতর হয়েছে৷
বেশ কিছুক্ষণ চোখ বুজে থেকে চিত্রজিৎ তুলিটা রেখে দিলে প্যালেটের উপর৷ চিলতে–ভেজানো জানালাটা খুলে দিতে বাইরে রোদ্দুরের ঝলকানি৷ অনেকটা বেলা হয়ে গেছে৷ বাড়ির পিছনে কৃষ্ণচূড়া গাছটিতে এখন উজ্জ্বল লালরঙা ফুলের বাড়বাড়ন্ত৷ নীচে ঝরে–পড়া কৃষ্ণচূড়ার লালচে গালিচা৷ তার উপর দিয়ে একটা বাইক ছুটে গেছে হয়তো কিছুক্ষণ আগে৷ লাল গালিচার মাঝখানটা থেঁতলে দিয়ে গেছে চাকাটা৷ চটকে যাওয়া ফুলের পাপড়িটা এই মুহূর্তে ধারণ করেছে বীভৎস চেহারা৷
বাইকটা যেন থেঁতলে দিয়ে গেছে একটা জলজ্যান্ত মানুষ৷
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোময়েত্রী চট্টোপাধ্যায়