নিজস্ব প্রতিনিধি, ২০ জুলাই– পুলিশের সুপরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণ সত্ত্বেও ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারেও শহরে যানজট যে বাড়বে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। শুক্রবারেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। ভিড় বাড়ছে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে। স্বাভাবিকভাবেই এদিন শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানজট বাড়বে। দুর্ভোগের মুখে পড়তে হতে পারে নিত্যযাত্রীদের। তবে এদিন শহরের বেশ কিছু রাস্তা আবার ফাঁকাও পাওয়া যাবে। নিত্য অফিস যাত্রীরা যাতে এই যানজট বা দুর্ভোগ এড়িয়ে নির্ঝঞ্ঝাটে কর্মস্থলে পৌঁছতে পারেন, তার কিছু সুলুক সন্ধান দেওয়া হয়েছে। সেগুলি জানতে পারলেই বাধামুক্ত হয়ে অফিস বা কর্মস্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন কর্মী ও আধিকারিকরা।
তাই জেনে নেওয়া যাক, মিছিলের কারণে শহরের কোন কোন রাস্তায় সবচেয়ে বেশি যানজট হবে। সেগুলি এড়িয়ে চললেই নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে পৌঁছে যাওয়া যাবে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল হতে না হতেই ধর্মতলার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাবে সাত সাতটি বড় মিছিল। শ্যামবাজার মোড়, হেদুয়া পার্ক, হাজরা পার্ক থেকে মিছিল যাবে ধর্মতলায়। আবার পার্ক সার্কাস সেভেন্ট পয়েন্ট থেকেও একটি মিছিল যাবে ধর্মতলায়। এছাড়াও হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশন থেকেও তিনটি বড় মিছিল যাবে ধর্মতলার শহীদ মঞ্চের দিকে।
এদিকে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের জেরে শহরের যানজট রুখতে তৎপর কলকাতা পুলিশও। মাঠে নেমেছেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে বিবৃতি। পুলিশ সূত্রের খবর, শহরের ২২টি জায়গায় তৃণমূলের জমায়েত হবে। সেই সমাবেশগুলি থেকে একাধিক মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন শশী পাঁজা, মালা রায়, অতীন ঘোষদের মতো তাবড় তাবড় নেতারা। শ্যামবাজার মোড় থেকে বিধান সরণি, কলেজ স্ট্রিট, এনসি স্ট্রিট, জিসি অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে মিছিল এগোবে ধর্মতলায়।
অন্যদিকে, হাজরা ক্রসিং মিছিল এগোবে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, এক্সাইড মোড়, জেএন রোড ধরে পৌঁছে যাবে ধর্মতলায়। পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট থেকে মিছিল এগিয়ে যাবে পার্ক স্ট্রিট, মল্লিক বাজার এজেসি বোস রোড, মৌলালি মোড়, এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে পৌঁছে যাবে ধর্মতলায়।
প্রসঙ্গত প্রতিবছর একুশে জুলাইয়ে তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ উপলক্ষে ধর্মতলায় প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। কলকাতা শহরের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমের বিভিন্ন রাস্তা ধরে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষের ঢল নামে। বিশেষ করে শিয়ালদহ ও হাওড়া শহর ধরে দূরের জেলাগুলি থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা শহরে এসে পৌঁছন। এই সমাবেশে মানুষের এতটাই ভিড় হয় যে, সবাই এই সমাবেশে মঞ্চের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন না। এমতাবস্থায় এবারেও যে কলকাতা শহরে সমান জনসমাবেশ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।