বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সম্মানে ‘ভিশন অফ বেঙ্গল’-এর ব্যতিক্রমী উদযাপন

নিজস্ব চিত্র

সমাজে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সম্মান জানানো এবং মেধাবী অথচ পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যকে সামনে রেখে ‘ভিশন অফ বেঙ্গল’ তাদের মর্যাদাপূর্ণ ‘গৌরব সম্মান’-এর দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করল। কলকাতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলার নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা একঝাঁক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করা হয়।

দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দশকপ্রাচীন এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা অথচ মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য বার্ষিক বৃত্তির ব্যবস্থা করে আসছে। পাশাপাশি সমাজ, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘গৌরব সম্মান’ প্রদান তাদের অন্যতম উদ্যোগ।

২০২৫ সালের ‘ভারত গৌরব সম্মান’-এ সম্মানিত হন সংগীত ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অবদানের জন্য উষা উথুপ, ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় গুরবক্স সিং এবং শিল্পক্ষেত্রে অবদানের জন্য দীনদয়াল গুপ্ত। আয়োজকদের মতে, এই তিন জনের কাজ দেশ ও সমাজের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।


একই সঙ্গে ‘বঙ্গ গৌরব সম্মান’ প্রদান করা হয় বিজ্ঞান, শিল্পোদ্যোগ, চলচ্চিত্র ও ক্রীড়া সংগঠনের ক্ষেত্রে অবদান রাখা একাধিক ব্যক্তিত্বকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাণীবিদ্যার ক্ষেত্রে কাজ করা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায়, শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার প্রেম জৈন, চলচ্চিত্র প্রযোজক সুরিন্দর সিং এবং বাংলা ক্রীড়াজগতের সঙ্গে যুক্ত বাবলু কোলি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী জনলোকানন্দ মহারাজ, বিশিষ্ট শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, যোগাযোগ নকশাবিদ ও আলোকচিত্রী শিলাদিত্য চৌধুরী-সহ সমাজ ও সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা। আয়োজকদের বক্তব্য, এই মিলনমেলার গৌরব সম্মানকে শুধু পুরস্কার নয়, বরং এক মূল্যবোধের উদযাপনে পরিণত করেছে।

সংস্থার চেয়ারম্যান মানস ঘোষ বলেন, ‘গৌরব সম্মান কেবল সম্মাননা নয়, এটি মূল্যবোধ, উৎকর্ষ এবং সেবার উদযাপন। শিক্ষার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার পাশাপাশি সমাজকে অনুপ্রাণিত করা মানুষদের স্বীকৃতি দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

আয়োজকদের দাবি, ‘গৌরব সম্মান’-এর দশ বছর পূর্তি ‘ভিশন অফ বেঙ্গল’-এর দীর্ঘ সামাজিক যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সমাজ বদলের অনুপ্রেরণা জোগানো এবং কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেওয়ার এই প্রয়াস আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।