দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে গ্রেপ্তার বিডিও ঘনিষ্ঠ ২

প্রতীকী চিত্র

সল্টলেকের দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন রাজগঞ্জের বিডিও-র গাড়ি চালক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিধাননগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত দু’জনকে উত্তরবঙ্গের একটি জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন রাজু ঢালি ও তুফান থাপা নামের দু’জন ব্যক্তি। রাজগঞ্জের বিডিও-র গাড়িচালক রাজু ঢালি। বিডিও প্রশান্ত বর্মন যখন কলকাতায় আসতেন, তখন তাঁর গাড়ি চালাতেন রাজু। আর প্রশান্তর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হল তুফান থাপা, তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার। শনিবার তাঁদের বিধাননগর আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দত্তাবাদের স্বর্ণব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যা আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের নীলদা পোস্ট অফিসের বাসিন্দা। গত ১৫-২০ বছর ধরে সল্টলেকের দত্তাবাদে রয়েছে তাঁর নিজের সোনার দোকান। গত ২৮ অক্টোবর রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন তাঁর সোনার দোকানে হাজির হন বলে অভিযোগ মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের। বিডিও-র সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন। এর পরের দিন ২৯ অক্টোবর ব্যবসায়ীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় নিউ টাউনের যাত্রাগাছি এলাকার বাগজোলা খালের আশেপাশের ঝোপঝাড়ে। পরিবারের অভিযোগ, বিডিও ও তাঁর দলবল মিলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে খুন করেন। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন আগে ওই বিডিও-র বাড়িতে সোনার গয়না চুরি হয়। বিডিও-র তরফে অভিযোগ করা হয়, সোনা চুরি করে সেই সোনা সল্টলেকে বিক্রি করেছেন স্বপন। এরপরেই মৃত ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যার সোনার দোকানে গিয়ে হাজিরা দেন বিডিও। সূত্রের খবর, সেই সময়ে ঘটনাস্থলে রাজু ঢালি ও তুফান থাপা উপস্থিত ছিলেন। তার পরের দিনই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃতদেহ মেলে। ঘটনার পরের দিন থেকে রাজগঞ্জের বিডিও গা ঢাকা দেন বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ির দরজায় দেখা যায় তালা লাগানো।

এরপরেই শুক্রবার প্রকাশ্যে এসে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাঁর বাড়িতে কোনও চুরি হয়নি। তিনি সল্টলেকের সোনার দোকানেও হাজিরা দিতে যাননি। তাঁকে ইচ্ছাকৃত ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি রাজগঞ্জে বিডিও হয়ে আসার পর ঠিকাদারদের দুর্নীতি বন্ধ করেছেন, জমি মাফিয়াদের কাজে বাধা দিয়েছেন। এইসব কারণেই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তদন্তকারীরা ঘটনার তদন্তে নেমেছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিকল্পনা মাফিক স্বর্ণব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে অপহরণ করা হয়। এরপরেই খুনের ঘটনাটি ঘটে। কী উদ্দেশ্যে ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।