জোকায় জগদ্ধাত্রী পুজোয় উঠে এলো এক টুকরো চন্দননগর

নিজস্ব চিত্র

দীপাবলির আলো নিভে যাওয়ার আগেই দক্ষিণ কলকাতার জোকার ডিটিসি সাউদার্ন হাইটস আবাসনে জগদ্ধাত্রী পুজোয় দেখা গেল একেবারে চন্দননগরের ছোঁয়া। এবছর প্রথমবারের মতো এই আবাসনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো, যার মূল ভাবনা ‘সনাতন সংস্কৃতি’। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে এমন এক মণ্ডপ, যা দেখে মনে হবে যেন চন্দননগরের আলো, রঙ ও শিল্পকলা নেমে এসেছে দক্ষিণ কলকাতায়।

এই পুজোর আয়োজন করেছে ডিটিসি সাউদার্ন হাইটস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। আবাসনের প্রায় ১৩০০ ফ্ল্যাটের সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বাসিন্দা একসঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এই উৎসবে। পুজো কমিটির সভাপতি পুলক কুমার মুখার্জি জানিয়েছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু ধর্মীয় আচার পালন নয়, বরং চন্দননগরের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যকে এই আবাসনের মানুষদের সামনে তুলে ধরা।’

প্যান্ডেলের ভাবনা ও নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন পূজা কমিটির সদস্য সলিল কুমার দাস। তাঁর তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে এমন এক মণ্ডপ, যা আলোকসজ্জা, রঙ এবং শৈল্পিকতায় যেন চন্দননগরের ঐতিহ্যকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। মণ্ডপে ব্যবহৃত হয়েছে দেশীয় হস্তশিল্প, কাঠের খোদাই এবং পরিবেশবান্ধব উপকরণ, যা পুরো পুজো প্রাঙ্গণকে দিয়েছে বিশেষ বৈচিত্র্য।


পুজো পরিচালনায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন অঙ্কুর রায় ও নুপুর ভট্টাচার্যসহ আরও অনেক সদস্য। তাঁদের নিবেদিত প্রচেষ্টায় আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে একতা ও উৎসবের উচ্ছ্বাস।

বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রথম বছরের আয়োজনেই এতটা সাড়া পাওয়া যাবে তা কেউ ভাবেননি। আবাসনের বাসিন্দা কুন্তলা ঘোষ বলেন, ‘এই পুজো শুধু ধর্মীয় নয়, আমাদের সমাজে একসঙ্গে থাকার আনন্দও এনে দিয়েছে।’ ইতিমধ্যেই আরও বড় পরিসরে, আরও মনোমুগ্ধকরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে পরের বছরের পুজোর পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।