তিহার থেকে পলাতক আজীবন দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি গ্রেপ্তার কলকাতায়

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

তিহার জেলে আজীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এক খুনিকে কলকাতার রিপন স্ট্রিট থেকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের যৌথ দল। উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী মুহাম্মদ সোহরাব প্যারোলে ছাড়া পেলেও নির্দিষ্ট সময়ে তিহারে আর ফিরে না গিয়ে কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল। মাসের পর মাস ছদ্মবেশে অ্যাপ ক্যাব চালিয়ে জীবনযাপন করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কলকাতা পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, ‘দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল তদন্তের স্বার্থে আমাদের দপ্তরের সাহায্য চায়। দীর্ঘ তল্লাশি ও প্রযুক্তিগত সূত্র ধরে শেষ পর্যন্ত রিপন স্ট্রিটের একটি বাড়ি থেকে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা সোহরাবকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোহরাব শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, দিল্লিতেও বহু গুরুতর অপরাধে জড়িত। মোট প্রায় ২০টি অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত সে। অন্তত ছ’ থেকে সাতটি খুনের মামলা, একাধিক খুনের চেষ্টা, ছিনতাই ও দস্যুবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।


পুলিশ জানাচ্ছে, সোহরাব ও তার দুই ভাই সেলিম ও রুস্তম মিলে একসময় বড়সড় দুষ্কৃতী চক্র চালাত। ২০০৫ সালে ঈদের দিনে এক ঘণ্টার মধ্যে পরপর তিনটি খুন করে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল সোহরাব। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১১ সালে দিল্লির করোলবাগে এক সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় সোহরাব ও তার এক ভাইকে আবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দিল্লির আদালত তখন দু’জনকেই আজীবন কারাদণ্ড দেয়।

এরপর থেকেই সোহরাব তিহার কারাগারে বন্দি ছিল। চলতি বছরের ২৬ জুন স্ত্রীর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সে প্যারোলে মুক্তি পায়। ৪ জুলাই তাকে কারাগারে ফেরার কথা থাকলেও সে আর ফেরেনি। তদন্তে ধরা পড়ে যে, সোহরাব কলকাতার তোপসিয়ার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ছদ্মবেশে অ্যাপ ক্যাব চালকের কাজ করছিল।

এদিকে প্যারোলে নির্দিষ্ট সময় পর ফিরে না আসায় দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই শেষ পর্যন্ত কলকাতায় গ্রেপ্তার হল ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী।