ভেঙে পড়ল হিন্দু হস্টেলের ছাদের একাংশ, ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা

ফের বিপত্তি হিন্দু হস্টেলে। বুধবার রাতে ভেঙে পড়ল হিন্দু হস্টেলের ছাদের একাংশ। হস্টেলের ১০১ নম্বর ঘরের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়েছে। এই ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রাবাসের পড়ুয়ারা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অরুণকুমার মাইতি জানিয়েছেন, পিডব্লিউডির কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকালেই ওই ঘরটি দেখে এসেছেন। শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

হিন্দু হস্টেলের ১০১ নম্বর ঘরে থাকেন সমাজতত্ত্বের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্র ঐশ্নিক দত্ত। বুধবার রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ওই পড়ুয়ার বিছানায় ভেঙে পড়ে ছাদের একাংশ। তিনি সেই সময় ঘরে ছিলেন না। তাই বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন হস্টেলের অন্যান্য আবাসিকেরা। গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন ছাত্ররা। তাঁদের অভিযোগ, হস্টেলের ঘরগুলির দুরবস্থার কথা কয়েক মাস ধরে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এদিকে বুধবার রাতে এই ঘটনার পর হস্টেলের এক কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন পড়ুয়ারা। কিন্তু তিনি বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস্ অরুণকুমার মাইতি জানান, এটা পুরনো বিল্ডিং, সংস্কারের দায়িত্ব রয়েছে পিডব্লিউডির হাতে। পিডব্লিউডির কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে গিয়েছে। শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।


প্রয়োজনীয় সংস্কার না করা হলে পড়ুয়ারা আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন যাতে হিন্দু হোস্টেলকে আবার না হতে হয়, তার জন্য কর্তৃপক্ষকে শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন অবস্থা যাতে হোস্টেলের কোনও রুমে আর না হয়, সেই ব্যাপারটাও কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। যদি কর্তৃপক্ষ আবারও হিন্দু হোস্টেলের প্রতিটা রুমের তদারকি দায়িত্বের সঙ্গে না করে, যদি কর্তৃপক্ষ এই গুরুতর ব্যাপারটাকে কেবলই অবহেলা করতে থাকে, যদি সেই অবহেলার কারণে কারও ক্ষতি হয়, তাহলে হিন্দু হোস্টেল আবারও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।’