বর্ষা ঢোকার মুখেই কলকাতা শহরের গাছগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নেমেছিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে রাস্তাঘাট, পার্ক, বাজার এবং জনবহুল এলাকাগুলিতে থাকা পুরনো, বিশাল আকৃতির গাছগুলোর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। পুরসভার উদ্যান বিভাগ এবং প্রত্যেকটি বরোর আধিকারিকদের জানানো হয়েছিল, এলাকার সব গাছ ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। কোনও গাছ হেলে পড়েছে কি না, কোন ডাল ঝুলছে বা পোকামাকড়ে খেয়ে ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে গেছে কি না, এসব খুঁটিনাটি বিষয়ও নজরে রাখার নির্দেশ ছিল।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে নজর দিয়েই এই সমীক্ষা চালায় পুরসভা। হরিশ মুখার্জি রোড, আলিপুর রোড, ডি এল খান রোড, রাসবিহারী এভিনিউ, হাজরা রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড ও বিধান সরণির মতো জনবহুল রাস্তাগুলিতে গাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। এই সমীক্ষায় এখনও পর্যন্ত শহরের ২৭টি ওয়ার্ডে ১৬০টি এমন গাছ পাওয়া গেছে, যেগুলো হেলে রয়েছে এবং আশপাশের মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ৯টি মৃত গাছ এবং ১৫টি গাছের কাণ্ডে বড় গর্ত থাকার ঘটনাও সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, গাছটা বাইরের থেকে সবুজ থাকলেও ভেতরে পুরো ফাঁপা, যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুরসভার উদ্যান বিভাগের আধিকারিক শর্বানী রায় জানান, ‘এই গাছগুলোর তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। পুরসভা এনওসি দিয়ে বনদপ্তরের কাছ থেকে গাছ কাটার অনুমতি চাইবে। অনুমতি মিললেই বিপজ্জনক গাছগুলি কেটে ফেলা হবে।’ বর্ষার দিনে আচমকা গাছ পড়ে গিয়ে যাতে কোনও প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি না ঘটে, সেজন্যই এই তৎপরতা বলে জানাচ্ছেন পুরসভা আধিকারিকরা। গাছ কাটার পাশাপাশি, ভবিষ্যতে যাতে পরিকল্পনা করে নতুন গাছ লাগানো যায়, সেই দিকেও নজর দিচ্ছে পুরসভা।