পিজিতে মধ্যবিত্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য চালু হচ্ছে বাজেট হাসপাতাল। একদিকে থাকছে রাজ্যের প্রথম সারির চিকিৎসক, অন্যদিকে অভাবনীয় পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য। তবে খরচ মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। প্রথম সারির কর্পোরেট হাসপাতালের তুলনায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কম খরচেই মিলবে এই পরিষেবা। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে।
পিজি হাসপাতাল সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর প্রকল্পটি শুরু হয়। নির্মাণকাজ শেষের মুখে। পিজির পাশেই তৈরি হচ্ছে এই দশতলা ভবন। মা উড়ালপুল কিংবা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের চত্বর থেকে চোখে পড়ছে পিজি হাসপাতালের পোস্ট অফিস গেটের পাশে এই নতুন হাসপাতাল ভবন। হাসপাতালের প্রতিটি ঘর থেকেই চোখে পড়বে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মনকাড়া দৃশ্য। এটাই এই হাসপাতালের ইউএসপি। বহুতল ভবনের সর্বোচ্চ তলে থাকবে আটটি ভিআইপি সুইট। বাকি অংশে ১০২টি সুসজ্জিত কেবিন। এছাড়াও পাঁচটি এইচডিইউ এবং ১৬টি আইসিইউ বেড। সব মিলিয়ে বেড সংখ্যা ১৩১।
নতুন এই বাজেট হাসপাতালের ভাবনার পেছনে রয়েছে পিজি হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের উল্লেখযোগ্য সাফল্য। যেখানে শুধুমাত্র ভিআইপি পরিচয় ছাড়া উডবার্নে চিকিৎসা পাওয়া যেত না, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই ওয়ার্ড খুলে দেওয়া হয় সকলের জন্য। ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ মডেলে পরিচালিত উডবার্ন ওয়ার্ডে রয়েছে তিন রকমের ৩৬টি কেবিন। ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ মডেলের সাফল্যের পরই পিজিতে বাজেট হাসপাতালের কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি জেলাতেও বাজেট হাসপাতালের জন্য জমি দেখা হচ্ছে।
পিজি হাসপাতালের এক পদস্থ কর্তা জানান, ‘পুhospitalজোর আগেই হাসপাতালের প্রথম চারটি তলা খুলে দেওয়া হবে সাধারণের জন্য। তারপর ধাপে ধাপে চালু হবে বাকি তলাগুলি। ইতিমধ্যেই শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে নির্মাণকাজ।’ বাজেট হাসপাতালের পাশাপাশি উন্নত হচ্ছে উডবার্ন ওয়ার্ডও। বর্তমানে ৩৬টি কেবিন থাকলেও, সেটি বাড়িয়ে প্রায় ৬০টি করা হতে পারে। সব মিলিয়ে নতুন হাসপাতাল ও উডবার্ন মিলে পিজি হাসপাতালে কেবিনের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ২০০টি।