পুজোর আগেই হাল ফিরবে শহরের অধিকাংশ রাস্তার: মেয়র

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

‘কেএমসি-শার্প’-এর আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে শহর কলকাতার আগামীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শহরের সংযুক্ত বিভিন্ন এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানান, অনেক অঞ্চলে এখনও নিকাশি নালা নেই। ফলে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় পুরসভা সেখানে রাস্তা নির্মাণে সমস্যার মুখে পড়ছে। রাস্তা থাকলেও বৃষ্টির জলে ডুবে গিয়ে তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এই সমস্যা মোকাবিলায় পেভার ব্লকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলির খানা-খন্দ মেরামতের নির্দেশ দেন মেয়র। তাঁর নির্দেশে ইতিমধ্যেই হাওড়া ব্রিজের সংলগ্ন এলাকা এবং সায়েন্স সিটির আশপাশের রাস্তার মেরামতির কাজ শেষ হয়েছে। বিশেষ করে যেসব রাস্তায় জল জমার প্রবণতা বেশি, সেখানে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ চলছে।

মেয়র জানান, পুজোর আগেই শহরের প্রায় সব রাস্তা ঠিক হয়ে যাবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮টি রাস্তার মধ্যে মাত্র ৮টির কাজ হয়তো পুজোর আগে শেষ হবে না। এর মধ্যে ৩৮টি রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে, ১২টি রাস্তায় কাজ অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। মেয়র বলেন, ‘দু’তিন দিন বৃষ্টি না হলে বাকিটুকু কাজও দ্রুত শেষ হবে।’


ইস্টার্ন বাইপাসের রাস্তাগুলিতে এখন আর কোনও খানা-খন্দ নেই বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, যেসব রাস্তায় জল জমে, সেখানে পেভার ব্লক ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বাকি রাস্তাগুলিতে প্লাস্টিক মিশ্রিত উপাদান দিয়ে মেরামতের কাজ চলছে। পুজোর পর শহরের ১০৯, ১০৮, ১২৬ ও ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও নিকাশির কাজ শুরু হবে। এরপর ধাপে ধাপে গার্ডেনরিচ ও অন্যান্য সংযুক্ত এলাকাতেও এই কাজ সম্পন্ন হবে। মেয়র আরও জানান, কেইআইপির ড্রেনেজের কাজও পুজোর পরেই শুরু হবে।

এডিবি-র লোন, রাজ্য সরকারের অর্থ এবং কলকাতা পুরসভার তহবিল, তিন মিলিয়েই এই কাজের ব্যয়ভার বহন করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র।