কলকাতার পরিবহণ ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা হল শুক্রবার। একসঙ্গে তিনটি নতুন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নোয়াপাড়া–জয় হিন্দ বিমানবন্দর, শিয়ালদহ–এসপ্ল্যানেড এবং বেলেঘাটা (রুবির মোড়)–হেমন্ত মুখোপাধ্যায় করিডরের যাত্রা শুরুর মাধ্যমে শহরের যাতায়াত আরও সহজ হওয়ার আশা করছেন সাধারণ মানুষ।
হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত মেট্রো পরিষেবা শুক্রবার থেকেই চালু হয়েছে। তবে নোয়াপাড়া–বিমানবন্দর এবং কবি সুভাষ–বেলেঘাটা রুটে যাত্রী ওঠানামা শুরু হবে আগামী সোমবার থেকে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন রুট চালু হওয়ায় একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে পৌঁছানোর সময় অনেকটাই কমবে, একই সঙ্গে কমবে ট্রাফিকের চাপও।
নতুন রুটগুলির সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। হাওড়া–সেক্টর ফাইভ রুটে ট্রেন মিলবে সকাল ৬:৩০ থেকে রাত ১০:১৯ পর্যন্ত। বিমানবন্দর–নোয়াপাড়া রুটে সকাল ৭:৫৮ থেকে রাত ৮:১০ পর্যন্ত মেট্রো পাওয়া যাবে, আর কবি সুভাষ–বেলেঘাটা রুট চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮:২৮ পর্যন্ত। ন্যূনতম ভাড়া ৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ৭০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। ব্যস্ত সময়ে ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
বিকেল সাড়ে চারটায় কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাননি। সূত্রের খবর, নীতিগত কারণে তিনি সেই সিদ্ধান্ত নেন।
উদ্বোধনের পর দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে জনসভায় অংশ নেন মোদী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর ভাষণে স্পষ্ট হয়ে ওঠে রাজনৈতিক সুর। বাংলায় কবিতা আবৃত্তি দিয়ে বক্তৃতা শুরু করে মোদী বলেন, “জাগো, ওঠো, নব জীবনের আলো।” এরপর রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে তিনি অভিযোগ তোলেন, “উন্নয়নের টাকা এখানে লুট হয়ে যায়।” একই সঙ্গে দাবি করেন, “ইউপিএ সরকারের তুলনায় বাংলার সড়ক উন্নয়নে তাঁর সরকার দ্বিগুণ টাকা দিয়েছে।”