রাস্তায় হোর্ডিংয়ের সংখ্যা কমবে, বিজ্ঞাপন থেকে বাড়বে আয়

ফাইল ছবি

কলকাতার রাস্তায় হোর্ডিংয়ের সংখ্যা ৪০০-এর বেশি। এবার ৪০০ থেকে সেই সংখ্যাকে কমিয়ে ২৫০-তে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পরিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার।

তিনি জানান, এই পদক্ষেপ শহরকে আরও পরিচ্ছন্ন করে তুলবে, দৃশ্য দূষণ কমাবে এবং কম সংখ্যক হোর্ডিংয়ের কারণে বিজ্ঞাপনদাতারাও বেশি দাম দিতে আগ্রহী হবেন। ফলে পুরসভার আয়ও বাড়বে।

পুরসভা জানিয়েছে, এবার থেকে হোর্ডিং বরাদ্দের জন্য আর টেন্ডার নয়, সরাসরি নিলামের পথেই হাঁটবে তারা। নিলামের মাধ্যমে আরও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে বলে মনে করছে পুরসভা। নিলামে একাধিক সংস্থা একসঙ্গে বসে দর বাড়ানোর সুযোগ পায়, ফলে প্রতিযোগিতা বাড়ে এবং দরও চড়ে ওঠে। অন্যদিকে, টেন্ডার পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারীরা আলাদাভাবে সিল করা দরপত্র জমা দেয়, যার ফলে প্রতিযোগিতার সুযোগ কম থাকে।


দেবাশিস কুমার বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই অনেক হোর্ডিং তুলে ফেলেছি, আরও তুলব। আমাদের লক্ষ্য, শহরে সর্বাধিক ২৫০টি হোর্ডিং রাখা।’ তিনি আরও বলেন, ‘কম হোর্ডিং মানে শহরটা পরিষ্কার দেখাবে। তাছাড়া কম হোর্ডিং থাকলে বিজ্ঞাপনদাতারাও বেশি দাম দিতে রাজি হবেন।’

শহরের ফুটপাথ এবং খোলা জায়গায় থাকা হোর্ডিংগুলিই ‘স্ট্রিট হোর্ডিং’ হিসেবে চিহ্নিত। বর্তমানে এমন হোর্ডিংয়ের সংখ্যা ৪০০-এরও বেশি। এছাড়া ২১টি ডিজিটাল হোর্ডিং রয়েছে।অনেক হোর্ডিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জংধরা লোহার কাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে, অনেক সময় ঝড়ে ভেঙেও পড়ছে সেগুলো। শহরের নানা প্রান্তে এমনই অনেক অবৈধ হোর্ডিং রয়েছে, যেগুলির কোনও হিসেব নেই। এবার সেগুলিকেই নিয়মের আওতায় আনতে চাইছে কলকাতা পুরসভা।