পুরসভার রাজস্ব আদায় এবং মিউটেশন সংক্রান্ত কাজে গতি আনতে বড়সড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা। বুধবার টাউন হলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাজস্ব ও মিউটেশন নিয়ে পুরসভার আধিকারিকদের একাধিক নির্দেশ দেন।
বৈঠকে জানানো হয়, অনেক সময় বাড়ির ঠিকানা আর পুরসভার ঠিকানা আলাদা হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যা দেখা দেয়। তাই এবার থেকে অ্যাসেসমেন্ট ফর্মে দুটো ঠিকানাই থাকবে, যাতে রাজস্ব আদায়ে আর কোনও ফাঁক না থাকে। বিশেষ করে কলকাতার সংযুক্ত এলাকাগুলোতেই বেশি সমস্যা হচ্ছে।
এদিন মেয়র বলেন, ‘উত্তর কলকাতায় পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি হচ্ছে। তাই সেখানেও নজর দিতে হবে। দুয়ারে পুরসভা ক্যাম্পের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় চলছে। এবছর রাজস্ব আদায় ১২০০ কোটি টাকার বেশি হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০-৫০ কোটি টাকা বেশি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়।’
অনেকেই বছরের পর বছর কর দেন না। এই সমস্যা দূর করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন মেয়র। তিনি নির্দেশ দেন, মিউটেশন ফাইল যেন ১৫ দিনের বেশি পড়ে না থাকে, এবং এই কাজ পুরোপুরি অনলাইনে করার ওপর জোর দেন। কারণ সরাসরি পুরসভায় এলে দালালের সমস্যা দেখা দেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মেয়র আরও জানান, অনেক বাণিজ্যিক বাড়ি রাজস্ব দেয় না। সেগুলোর তালিকা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, শহরের বাড়ির ছাদ যেন খোলা রাখা হয় সেটাও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ছাদে টিনের ছাউনি দেওয়া চলবে, কিন্তু পুরো ছাদ ঘিরে ফেলা যাবে না।
পুরসভার আধিকারিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘যাঁরা দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করবেন, পুরস্কৃত হবেন। আর কাজ না করলে তিরস্কার অপেক্ষা করছে। দালালদের উৎখাত করতেই হবে।’ এই বৈঠকের মাধ্যমে স্পষ্ট, পুরসভা এবার রাজস্ব আদায় ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে কড়া মনোভাব নিচ্ছে।