চিংড়িঘাটা মেট্রো নিয়ে এখনও রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে জট কাটেনি। দীর্ঘদিন ধরে থমকে রয়েছে চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ। এ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের আগে রাস্তা বন্ধ করে মেট্রোর কাজ করা যাবে না বলে জানায় রাজ্য। শুক্রবার রাজ্যের এই যুক্তি খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ জানুয়ারিতেই রাজ্যকে রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করতে হবে।
জানুয়ারিতে কবে এই কাজ করা সম্ভব তা আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানিতে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। সেখানেই রাজ্যের যুক্তি খারিজ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় আদালতের তরফে।
নিউ গড়িয়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো লাইনের সম্প্রসারণের কাজ দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে চিংড়িঘাটায়। বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়ে মাত্র ৩৬৬ মিটার অংশের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। এই কাজ শেষ করার জন্য রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু তারই অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না রাজ্যের কাছ থেকে। এর আগে একাধিকবার চিংড়িঘাটা নিয়ে রাজ্য, কেন্দ্র, নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল-সহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতিনিধিদের সদর্থক বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, জনগণের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এই জটিলতার সমাধানসূত্র বার করতে হবে। কিছুদিন আগেও গত ১৭ ডিসেম্বর বৈঠকে বসেছিল রাজ্য,কেন্দ্র ও নির্মাণকারী সংস্থা। তারপরেই রাজ্যের যুক্তি, এই মুহূর্তে রাস্তা বন্ধের অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। জানুয়ারি মাসেও তা সম্ভব নয়। চিংড়িঘাটা ব্যস্ত রাস্তা। বাইপাসের দিক থেকে মধ্য ও উত্তর কলকাতায় আসার প্রধান পথ সেটাই। প্রতিদিন বহু গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। তা বন্ধ রাখলে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে। ফেব্রুয়ারির আগে চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ করা যাবে না।
এদিন মামলার এই শুনানিতে নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল আদালতে অভিযোগ করে জানায়, পুলিশ জানিয়েছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোনও এক সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। কিন্তু মাত্র তিনদিন রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আদালতে দাবি আরভিএনএলের। এর পাল্টা রাজ্যের দাবি ছিল, দশক দশক ধরে কাজ চলে। তাহলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আরভিএনএল-এর অপেক্ষা করতে সমস্যা কোথায়। কিন্তু এরপরেই রাজ্যের যুক্তি খারিজ করে আদালত সোমবারে জানুয়ারির কবে রাজ্যের সময় হবে তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।