উৎসবের মরশুম মানেই দূর-দূরান্ত থেকে বাইরে থাকা ছেলে-মেয়েদের ঘরে ফেরা। সারাটা বছর এই ছুটির জন্য তাঁরা অপেক্ষা করে থাকে। কিন্তু সেই বাড়ি ফেরাই দিনে দিনে হয়ে উঠছে বেজায় ব্যয়সাপেক্ষ। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র স্পষ্ট নির্দেশ ছিল উৎসবের মরসুমে বিমানের ভাড়া যেন মানুষের ধরা ছোঁয়ার মধ্যে থাকে। দরকারে বিমান বাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্দেশ পরিকল্পনার স্তরেই পড়ে রইল।
দীপাবলির আবহে হুহু করে বেড়েছে বিমানের ভাড়া। বাড়ির টানে বাধ্য হয়েই আগুন দামে টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভিন শহর, ভিন রাজ্যের বাঙালিরা। বিজনেস ক্লাসের পাশাপাশি বিমানের টিকিট মূল্য বেড়েছে ইকোনোমি ক্লাসেরও।
লেখাপড়া ও কাজের সূত্রে কলকাতার অসংখ্য মানুষকেই পাড়ি দিতে হয় দিল্লি, মুম্বই হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলিতে। অবাঙালি কর্পোরেট সংস্থাগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছুটি থাকে দীপাবলির সময়ে। তাই দুর্গাপুজোর সময় যারা বাংলায় ফিরতে পারেন না, এই সময়টার জন্য মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু টিকিটের ভাড়া দেখে কার্যত চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
মুম্বই থেকে কলকাতা ফেরার বিমানের ভাড়া আগে ছিল ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা কিন্তু বৃহস্পতিবার ইকোনোমি ক্লাসের ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭ হাজার টাকা। শনিবার সেই ভাড়া ২৬ হাজার টাকা। বিজনেস ক্লাসের ভাড়া যেখানে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা থাকে, এই মুহূর্তে সেই ভাড়া ছাড়িয়েছে ৬০-৭০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা ইকোনোমি ক্লাসের ভাড়া থাকে ৭-৮ হাজার টাকা, সপ্তাহান্তে ভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫-১৮ হাজারের কাছাকাছি। চেন্নাই থেকে কলকাতা ফেরার টিকিটের মূল্য ৫-৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ থেকে ১৪ হাজার, হায়দরাবাদ থেকে কলকাতার বিমানের ভাড়া ৫-৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩-১৪ হাজার টাকা।
আসলে সপ্তাহান্তে দীর্ঘ ছুটি রয়েছে, সঙ্গে দীপাবলি, তাই টিকিটের চাহিদা বেড়েছে লাফিয়ে। অথচ, কেন্দ্রের নির্দেশিকা ছিল এই সময়ে টিকিটের দাম মধ্যবিত্তের আয়ত্তে রাখতে হবে। কিন্তু কলকাতার ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন বিশেষ দেখা যাচ্ছে না।