ফের একের পর এক জায়গায় হানা ইডির । এবার অতিসক্রিয় ভূমিকায় ইডি। তাঁদের পাখির চোখ আরামবাগের একাধিক শহর। সম্প্রতি আরামবাগ থেকে অর্থলগ্নি সংস্থার ভুয়ো লগ্নির অভিযোগ উঠেছে। এই সংস্থায় বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বহু মানুষ। তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত না মিললেও সংস্থার কর্মীদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সকাল আচমকাই আরামবাগ শহরে হানা দিয়েছিল ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশ কিছু বাড়ি ঘেরাও করেছিল। আরামবাগের গ্রামীণ এলাকাগুলিও তাঁদের তালিকায় ছিল। ইডির তালিকার অন্তর্ভুক্ত সন্দেহজনক সকলের বাড়িতেই তল্লাশি চলেছে। প্রাথমিকভাবে সাধারণ মানুষের জন্য এই তল্লাশি অভিযান বিস্ময়কর ছিল। জানা গিয়েছে, বিশেষ করে আরামবাগের একটি রিসর্ট, অর্থলগ্নিকারী সংস্থার কয়েকটি অফিস, বেশ কিছু এজেন্ট ও ডিরেক্টরদের বাড়ি তল্লাশি করেছে তদন্তকারী সংস্থা। দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান চলেছে। যদিও এই প্রসঙ্গে পরিষ্কার করে কোনও তথ্য ইডি দেয়নি। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অর্থলগ্নিকারী ওই সংস্থা বাজার থেকে টাকা তুলত এবং তারপর তা শেয়ারে বিনিয়োগ করত। আর এখানেই বিনিয়োগ করে বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। তাই ইডি আধিকারিকরা সংস্থার অফিস, কর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁদের পক্ষ থেকে বেআইনি কোনও তথ্য উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
কেবলমাত্র আরামবাগ নয়, বীরভূমের বেশ কিছু জায়গায়ও তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়েছিল। বীরভূমের বোলপুর রবীন্দ্রবিথী বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় বেসরকারি অর্থলগ্নির সংস্থার আধিকারিক আনারুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে । তাঁর বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি সাধারণ মানুষের থেকে প্রচুর পরিমানে অর্থ সংগ্রহ করত।