দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ফের কুমিরের আতঙ্ক। পাথরপ্রতিমা গ্রাম পঞ্চায়েতের কিশোরীনগরে দে মার্কেট সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বিশালাকার কুমির। পুকুরের মালিকের নাম খোকন বেরা। তিনি দে মার্কেট সংলগ্ন এলাকারই বাসিন্দা। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়, কয়েকদিন আগেই ওই এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল আরও একটি ১২ ফুট দৈর্ঘ্যের কুমির। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে পর পর দুটি কুমির উদ্ধার হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমিরের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে পুকুরের মালিক খোকন বেরার। তিনি লক্ষ্য করেন, পুকুরের মাছগুলি অস্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁর সন্দেহ হয়। পুকুরের যে জায়গায় এই ঘটনাটি ঘটছে, সেখানে গিয়ে দেখেন একটি দৈত্যাকার কুমির পুকুরের একের পর এক মাছ শিকার করে উদরপূর্তি করছে। এরপরই তিনি চিৎকার করে এলাকায় লোক জড়ো করেন।
খবর পেয়ে ভাগবতপুর রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা পুকুরটিকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুকুরে রাতভর অভিযান চালিয়েও কুমিরটিকে বাগে আনা যায়নি। অবশেষে বেগতিক বুঝে পুকুরে চারটি পাম্প চালিয়ে জল কমিয়ে ফেলা হয়। এরপরই উদ্ধার করা হয় কুমিরটিকে। সেটিকে এখন ভাগবতপুর কুমির প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাথরপ্রতিমা এলাকায় গত এক মাসে দু’টি পুকুর থেকে এই নিয়ে তিনটি কুমির উদ্ধার হয়েছে। এখনও কারও ক্ষতি না হলেও এভাবে গৃহস্থের পুকুর থেকে একের পর এক কুমির উদ্ধারের ঘটনায় চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা। এরফলে এলাকার কোনও পুকুরেই নামতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। যেকোনও মুহূর্তে আক্রান্ত হওয়ার ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন বনকর্মীরাও।