নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর– সারা রাত এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। ৫ ঘণ্টায় আড়াইশো মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। ১৯৭৮ সালের পর যা রেকর্ড। দুর্যোগের কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। আর এই মৃত্যুর জন্য সিইএসসি-কে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এর দায় সিইএসসি-কেই নিতে হবে। এখনই তাঁরা জরুরিভিত্তিতে কর্মীদের নামিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করুক।‘
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, সিইএসসি-র উদাসীনতার বলি এই ৭ জন। সিইএসসি-র উচিত, মৃতদের পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া। বেসরকারি ওই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘এখানে তারা ব্যবসা করছে আর আধুনিকীকরণের কাজ করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।‘ খুব দরকার না হলে বাড়ি থেকে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে কর্মীদের ছুটি না কাটার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানবিকভাবে বিষয়টি বিবেচনার কথা বলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে প্রয়োজনে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করার কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সাবধানবাণী, ‘ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।‘
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের সকলে রাস্তায় থাকবেন। তবে চেষ্টা করেও কলকাতা পুরসভা জল বার করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জলটা বার করবে কোথায়? সব তো ডুবে আছে।” পরে গঙ্গায় জোয়ার এলে ফের শহরের একাংশ জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেলা এবং শহরতলিতে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হলেও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি। পুজোর আগে ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কী আর করা যাবে। পুজো কমিটিগুলোর অসুবিধা হবে। আজ আর কালটা একটু দেখে নিতে হবে। হাতে সময় আছে।‘