এসআইআর চালু হতেই কলকাতা পুরসভার একাধিক বিভাগে দেখা দিয়েছে কর্মীসংকট। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রায় ২৫০ জন পুরকর্মীকে এসআইআরের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। ফলে নিয়মিত পুর পরিষেবাতেও প্রভাব পড়ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেও সেই বিষয়টি স্বীকার করেন। তাঁর কথায়, ‘এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, তিনজনের কাজ একজনকে করতে হচ্ছে। তবু নাগরিক পরিষেবা চালু রাখতেই সবাই অতিরিক্ত পরিশ্রম করছেন।’
অন্যদিকে, জন্মের শংসাপত্র নিয়ে নতুন করে রাজনীতির পারদ চড়েছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জন্মের শংসাপত্র সংক্রান্ত তথ্য জানতে আরটিআই করেছিলেন। সেই বিষয়ে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ আগেই জবাব দিয়েছিলেন। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম সরাসরি কটাক্ষ করে বলেন, ‘কম্পিউটার খুলে একবার দেখলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। কখন, কোথায়, কতজনকে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে, সব তথ্য পুরসভার ওয়েবসাইটেই পাওয়া রয়েছে।’
এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পরই পুরসভার জন্ম শংসাপত্র তোলার হিড়িক পড়ে। একসময় বাড়তি চাপে পুরসভার ওয়েবসাইট কিছু সময়ের জন্য বন্ধও হয়ে যায়। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হয়। মেয়র জানান, ‘যাঁদের জন্ম কলকাতা পুর এলাকার মধ্যে এবং যাঁদের নথি সঠিক, তাঁরা সকলেই জন্মের শংসাপত্র পাবেন। বিষয়টি নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করা উচিত নয়।’