মহিলারা সবচেয়ে বেশি যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তার মধ্যে অন্যতম স্তন ক্যানসার। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে ভারতে ২৮% মহিলাই স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। তবে ক্যানসার মানেই কী মৃত্যু? দোলতলা পুলিশ লাইনে বিশেষ স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির আয়োজনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার এক নতুন পথের সন্ধান দিল বারাসত পুলিশ জেলা। আইনশৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি মহিলা পুলিশ কর্মীদের ক্যানসার সুরক্ষায় ‘নারী সুরক্ষা কবজ’ নামে নতুন একটি প্রকল্প চালু করল বারাসত পুলিশ জেলা, যার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া। টাটা মেডিক্যাল সেন্টার এবং বারাসত পুলিশ জেলার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই শিবিরে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সোনিয়া মাথাই সহ প্রমুখ।
এবার প্রশ্ন হল, বাস্তবে কী এই ‘নারী সুরক্ষা কবজ’? নয়া প্রকল্পের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রতি শনি এবং রবিবার বারাসত পুলিশ জেলার মহিলা পুলিশকর্মীদের ক্যানসার শনাক্তকরণে বিশেষ স্ক্রিনিং টেস্ট করানো হবে। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনও দেওয়া হবে। কেউ ক্যানসার আক্রান্ত হলে রাজ্য সরকারের হেলথ স্কিমে চিকিৎসার যাবতীয় সুবিধাও পাবেন।’ এখনই ‘নারী সুরক্ষা কবজ’-এর সুবিধা কারা পাবেন তা স্পষ্ট করে পুলিশ সুপার বলেন, হোমগার্ড থেকে জেলা পুলিশের সকল স্তরের মহিলা পুলিশ কর্মী এবং অফিসাররা এই সুবিধা পাবেন তবে এখনই মহিলা সিভিক পুলিশেরা পাচ্ছেন না এই সুবিধা। পুলিশ সুপারের ভাষায়, ‘তাঁরা পরবর্তী ধাপে এই সুবিধা পাবেন।’
কেবল জেলা পুলিশের মধ্যেই ‘নারী সুরক্ষা কবজ’-এর সুবিধা সীমাবদ্ধ রাখতে চান না পুলিশ সুপার। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘গোটা সমাজের স্বার্থে এই প্রকল্পের বৃহৎ রূপ দিতে আমি অবশ্যই বারাসতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদীর সঙ্গে আলোচনা করবো।’ বারাসত পুলিশ জেলার অধীনে রয়েছে ৮ টি থানা এবং একাধিক পুলিশ ফাঁড়ি। এই পুলিশ জেলায় ৩৫০-র বেশি মহিলা পুলিশকর্মী রয়েছেন। পুলিশ সুপারের ভাষায়, ‘মহিলারা নিজ স্বাস্থ্যের বিষয়ে কম মনোযোগী। সংসার সামলে মহিলা পুলিশকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মনিয়োগ করেন। তাই এবার তাঁদের স্বাস্থ্যে গুরুত্ব আরোপ করতেই আমার পুলিশ পরিবারের মহিলা পুলিশকর্মীদের নিয়ে এই প্রকল্পের সূচনা করবো।’