নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। বাগবাজারের নিবেদিতা লেনের ঘটনা। ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে নাকি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শ্যামপুকুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি খুনের ঘটনা হতে পারে। সম্ভবত খুন করার পরই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য দেহে আগুন লাগানো হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের আগে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাগবাজারের নিবেদিতা লেনে নির্মীয়মাণ বহুতলে এক ব্যক্তির দেহ আধপোড়া অবস্থায় দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তখনও ওই ব্যক্তির দেহের আশপাশ থেকে ধোঁয়া বেরচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। মৃতের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এক স্থানীয় বাসিন্দা সেই সময় ওই ফ্ল্যাটের সামনে দিয়েই যাচ্ছিলেন। তাঁর নাকে পোড়া গন্ধ আসে। এরপরই গ্রিলের ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে দেখেন, একজন পড়ে আছেন। ধোঁয়া উড়ছে। এরপরই গোটা ঘটনার কথা জানাজানি হয়। খবর যায় পুলিশে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিবেদিতা লেনে পাশাপাশি দু’টি ফ্ল্যাট। এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাটের কাজ চলছে। সেখানে এখনও বাসিন্দারা আসেননি। সেই দুই ফ্ল্যাটের ফাঁকা অংশে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ওই ব্যক্তির দেহ মেলে। মূল গেটে তালা দেওয়া ছিল, তা হলে তিনি কীভাবে এখানে ঢুকলেন তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এর আগে শুক্রবার দুপুরে দমদম ক্যান্টনমেন্টের এক নম্বর রেলগেট সংলগ্ন জ্যোতিনগর এলাকায় প্রায় একই ঘটনা ঘটে। সেখানে বস্তাবন্দি অবস্থায় মহিলার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য বস্তাবন্দি দেহ ওই এলাকায় ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে।