আইসিইউতে খুনের ঘটনায় কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত তৌসিফ সহ ৪

পাটনার হাসপাতালের আইসিইউতে ঢুকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে গুলি করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৌসিফ রাজা সহ চারজনকে কলকাতার আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তথ্য দিয়েছে পাটনা পুলিশ। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশ ও এসটিএফ এই অপারেশনে পাটনা পুলিশকে সহযোগিতা করেছে। এই অপারেশনে পাটনা পুলিশকে সাহায্য করার জন্য একটি দলও গঠন করেছিল কলকাতা পুলিশ। যে গাড়িতে চেপে অভিযুক্তরা বিহার থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সেই গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ১৭ জুলাই বিহারের শাস্ত্রীনগরের পারস হাসপাতালের আইসিইউতে ঢুকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী চন্দন মিশ্রকে খুন করে কলকাতায় এসে গা ঢাকা দেন মূল অভিযুক্ত তৌসিফ সহ বেশ কয়েকজন। এরপর তাঁদের মোবাইলের টাওয়ারের লোকেশন ধরে কলকাতায় অভিযান চালায় পাটনা পুলিশ। এই অপারেশনে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সহায়তা নেন তদন্তকারীরা। পাটনা পুলিশকে সাহায্য করার জন্য কলকাতা পুলিশ একটি দল গঠন করেছিল। সেই দলের সদস্যদের নিয়ে শনিবার ভোরে আনন্দপুরের একটি আবাসনে হানা দেয় পাটনা পুলিশের আধিকারিকরা। সেখান থেকেই মূল অভিযুক্ত তৌসিফ সহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তৌসিফ ছাড়াও ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন নিশু খান। পাটনা পুলিশ জানিয়েছে, নিশুর বাড়িতে বসেই চন্দনকে খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল। সেখানেই স্থির হয়েছিল, তৌসিফের নেতৃত্বেই সেই হামলা চালানো হবে। হাসপাতালে ঢুকে খুনের ঘটনার পর একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছিল। সেখানে তৌসিফ সহ পাঁচ জনকে আইসিইউতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। পাঁচ জনের মধ্যে সবার আগে আইসিইউতে ঢুকেছিলেন তৌসিফ। আর সবার শেষে সেখান থেকে বেরিয়েছিলেন। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই তৌসিফকে চিহ্নিত করে পাটনা পুলিশ। এরপরই তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। অবশেষে তাঁকে কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।