পাঁচলায় জমি দেওয়ার নামে ১৬ কোটি টাকার প্রতারণা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

প্রতীকী চিত্র।

জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকার প্রতারণা! এই অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন হাওড়ার পাঁচলার বাসিন্দা অলোক ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার রাতেই পাঁচলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে বিচারক আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

অভিযোগ, কলকাতার একটি নামী সংস্থা ‘ইউনিক সেলস অর্গানাইজেশন’ ২০২১ সালে পাঁচলায় একটি লজিস্টিক হাব তৈরির পরিকল্পনা করে। প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫০ বিঘা জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সময়ই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন অলোক ভূঁইয়া। প্রতি কাঠা জমির দাম ৪ লক্ষ টাকা ধরে জমি কিনে সংস্থাকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সেই হিসাবে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রথমে অলোককে দেওয়া হয় প্রায় ১২ কোটি টাকা।

কিন্তু অভিযোগ, টাকা পাওয়ার পর শর্ত বদলে ফেলেন অলোক। তিনি জানান, প্রতি কাঠার দাম ৮ লক্ষ টাকা হবে। সংস্থা বাধ্য হয়ে আরও ৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে। মোট ১৬ কোটি টাকা নেওয়ার পরও সংস্থার হাতে জমি তুলে দেননি তিনি। উল্টে সেই জমিগুলি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করান এবং সংস্থাকে নানা অজুহাতে বছর ধরে ঘোরাতে থাকেন।


অবশেষে প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে সংস্থার তরফে উৎপল চৌধুরী গত ৩১ জুলাই পাঁচলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে অলোক ভূঁইয়াকে। হাওড়া জেলা পুলিশের সুপার সুবিমল পাল বলেন, “জমিজমা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগের প্রমাণ মেলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অলোক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এর আগেও জমি সংক্রান্ত একাধিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তবে এত বড় অঙ্কের আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ এই প্রথম।