ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে কেঁপে উঠেছে উত্তরাখণ্ডের চামোলি। টানা মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে নন্দনগর-সহ চারটি গ্রাম মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে ৩০টিরও বেশি বাড়ি। বহু বাড়ি ভেসে গিয়েছে বানের জলে। নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। এই চরম পরিস্থিতির মধ্যেই আশার আলো দেখালেন উদ্ধারকর্মীরা। টানা ১৬ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে থাকা এক যুবককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডে ফের মেঘভাঙা প্রবল বৃষ্টির জেরে ধসের ঘটনা ঘটে বুধবার গভীর রাতে। হঠাৎ ভয়াবহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি হড়পা বানে গ্রামগুলি প্রায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এরপর থেকেই এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে চলছে সেই উদ্ধারকাজ। বৃহস্পতিবার সকালে ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় কানে আসে এক ক্ষীণ কণ্ঠস্বর। উদ্ধারকারীরা সঙ্গে সঙ্গে কাজের গতি বাড়ান। বিশাল কংক্রিটের চাঙড় সরিয়ে দেখা যায়, তার নীচে আটকে রয়েছেন এক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধারকারী দলের বক্তব্য, এখনও কুন্তারি ও ধুরমা গ্রামে একাধিক ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কায় দিনরাত অভিযান চলছে। স্থানীয়দের কথায়, এর আগে এমন ভয়াবহ দৃশ্য তাঁরা দেখেননি। নদীর জলের দাপটে এখানকার একাধিক জনপদ তছনছ হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, হড়পা বানের জেরে দেহরাদূন-মসূরী হাইওয়ের দীর্ঘ অংশ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ফলে চামোলির সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেনার তৎপরতায় বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে আপাতত যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের দাবি, প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে। তাই উদ্ধার অভিযানের পাশাপাশি ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ দ্রুত শুরু করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় এখনো বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।