যুবক-যুবতীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নিজেদের মধ্যে অশান্তির কারণে আট দিন আগে দু’জন সম্পর্ক বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কিছুদিন পর আবার প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেন যুবক। তাঁরা আবার দেখা করেন এবং তখন দু’জনের মধ্যে পুনরায় বিবাদ হয়। সেই সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই যুবক ছুরি দিয়ে নিজের প্রাক্তন প্রেমিকার গলা কাটেন। ছটফট করতে করতে ঘটনাস্থলেই যুবতীর মৃত্যু হয়। সেই ছুরি দিয়ে নিজেকে আঘাত করে এরপর তিনিও আত্মঘাতী হন।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইতে। পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের নাম সোনু বড়াই এবং যুবতীর নাম মনীষা যাদব। তাঁদের বয়স ২৩-২৪ বছর। যুবক এবং যুবতীর দেহ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্তে প্রকাশ হয়েছে যে, সোনু এবং মনীষার মধ্যে অনেক দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি কিছু বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল। সোনুর সন্দেহ ছিল তাঁর প্রেমিকা অন্য যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। আট দিন আগে তাঁরা দেখা করেন। সেদিন সোনু, মনীষার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মনীষা অপমানিত হন এবং বিচ্ছেদ চান। এরপর কিছুদিন দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল না। শুক্রবার সকালে সোনু মনীষাকে ফোন করে দেখা করতে বলেন এবং সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে চান। সোনু বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে রান্নাঘর থেকে একটি সবজি কাটার ছুরি নিয়ে জামার ভিতরে লুকিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁরা একটি নির্জন জায়গায় দেখা করেন।
কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর আবার দু’জনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এরপরই ছুরি দিয়ে প্রেমিকার গলায় কোপ বসান সোনু। মনীষা ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরপর একই ছুরির কোপ নিজের গলায় বসিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। পুলিশ খবর পেয়ে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে। যে ছুরিটি দিয়ে সোনু মনীষাকে হত্যা করেন এবং নিজে আত্মঘাতী হন সেই ছুরিটি পরে সোনুর মা শনাক্ত করেছেন। এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বেশ কিছু ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।