শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটক করা হল সিপিআই (এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের অন্য এক নেতা ডি রাজা।
কাশ্মীরে অসুস্থ সিপিআই (এম) বিধায়ক মহম্মদ ইয়ুসিদ তারিগামিকে দেখতে কাশ্মীর পৌঁছন ইয়েচুরি ও রাজা। কিন্তু বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের মতােই শ্রীনগর বিমানবন্দরে দুই বাম নেতাকে আটক করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে কাশ্মীরে গিয়ে অসুস্থ তারিগামিকে দেখার আবেদন জানিয়ে ৮ আগস্ট চিঠি লেখেন সিপিআই (এম) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। তারিগামি এখন গৃহবন্দি রয়েছেন অন্যান্যদের মতাে। ইয়েচুরি চিঠিতে রাজ্যপালকে অনুরােধ করেছিলেন তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে কাশ্মীরে পৌঁঁছতে পারেন। ইয়েচুরির যুক্তি ছিল, তারিগামি অসুস্থ। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্যই কাশ্মীরে যেতে চান। দলের অন্য কর্মীদের সঙ্গেও তিনি দেখা করবেন।
সিপিআই (এম) সাধারণ সম্পাদক টুইটে লিখেছেন, ‘আমাদের অবৈধভাবে আটক করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি’। শুক্রবার সকালে শ্রীনগর পৌঁঁছনাের পর বিমানবন্দরে আটক করা হয় সিপিআই (এম)-এর সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজাকে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, আইনি কাগজপত্র দেখিয়ে আমাকে এবং ডি রাজাকে শ্রীনগর শহরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়েছি মধ্যস্থতা করার। কিন্তু ওরা আমাদের আইনি নির্দেশনামা নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখায়। রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে লেখা চিঠির প্রসঙ্গ তুলে ইয়েচুরি জানান, কাশ্মীরে আসার জন্য কোনও সমস্যায় না পড়তে হয় তারজন্য জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যপালকে আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম তারপরও আমাদের আটক করা হল। দলের কমরেড এবং অসুস্থ সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা ছিল।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ গুলাম নবি আজাদকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে একইভাবে আটক করা হয়েছিল। কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি কাশ্মীরে এসেছিলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরে যে ৪০০ জনকে আটক গৃহবন্দি করা হয়েছে তাদের মধ্যে কংগ্রেসের সমর্থকরাও রয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডােভালের সমালােচনা করার জন্য তাঁকে আটকানাে হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের এভাবে আটকানাের জন্য রাজনৈতিক সমালােচকরা মনে করছেন বাইরে থেকে কোনও রাজনৈতিক ইন্ধন জোগানাের সুযােগ দিতে চায় না কেন্দ্র।