‘অগ্নিপথ’ নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে: মোদি

কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে গোটা দেশে আগুন জ্বলছে। কৃষি বিলের পর এবার অগ্নিপথ প্রকল্পের জেরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে দেশজুড়ে।

ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে একের পর এক রেলের কোচ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবা। এবার এই ইস্যু নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রবিবার নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের টানেল এবং ভূগর্ভস্থ পথ উদ্বাধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে অগ্নিপথ প্রকল্পের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের নাগরিকদের মঙ্গলের জন্যই সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

কিন্তু, আমাদের দুর্ভাগ্য যে সেখানেও রাজনীতির রং লেগে যায়। আসল উদ্দেশ্য পূরণ হতে দেওয়া হয় না।’

এদিন প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল সেই কৃষি বিল নিয়ে করা মন্তব্যেরই সুর।

সেই সময়ও তিনি বলেছিলেন, এই বিল কৃষকদের ভালোর জন্যই। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। এবারও অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে তাঁর গলায় একই মন্তব্য।

নরেন্দ্র মোদির এদিনের বক্তব্যের নির্যাস, যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই সরকারের এই পদক্ষেপ। কিন্তু, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ভুল ব্যাখ্যা করছে।

অন্যদিকে, এদিন অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক বৈঠক করেন তিন সেনাপ্রধান।

তাঁদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনওভাবেই কেন্দ্র এই অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহার করবে না।

পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যেও কড়া বার্তা দেওয়া হয় সেনার পক্ষ থেকে পুলিশি যাচাই ছাড়া অগ্নিবীরদের নিয়োগ হবে না।

এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে , কোনওভাবে যদি কোনও আবেদনকারী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে থাকে , তবে তার নিয়োগ সম্ভব নয় ।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘ডিপার্টমেন্ট অব মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স-এর লেফটান্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী বলেন ‘এই সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীতে তারুণ্যতে জোর আনতে এই প্রকল্প।

১৯৮৯ সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সংস্কারের পদক্ষেপ হিসেবেই সিডিএস-এর নিয়োগ করা হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’