উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার রয়েছেকেন্দ্রীয়পেট্রোলিয়ম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, গোটা প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগেচ্ছে। মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের সঙ্গে তাঁর চিঠির আদান প্রদানও হয়েছে এই মাসের ১০ ও ১২ তারিখ। সোমবার রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর সরাসরি প্রশ্ন ছিল, অশোকনগর থেকে তেল তুলতে কেন এত দেরি হচ্ছে ? তারই জবাবে একথা বলেন তিনি। অশোকনগরে যে পরিমাণ তেল রয়েছে তার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
অশোকনগরের অয়েল ফিল্ড থেকে তেল তোলার ব্যাপারে ২০০৮ সালে উতপাদন চুক্তি হয়েছিল। ২০১৮ সালে পেট্রোলিয়ম ও মাইনিং লিজ চুক্তি হয়। এ বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি অশোকনগরে ওএনজিসি-র তেল খনন প্রকল্পে ছাড়পত্র দেয় রাজ্য সরকার। কেন্দ্র আগেই আশোকনগরের জন্য মাইনিং লিজে অনুমোদন দিয়েছিল।
এদিন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর কাছে শমীক জানতে চান, রাজ্য সরকার কি ইচ্ছা করে দেরি করছে ? কিন্তু সেই বিতর্কে যেতে চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এ মাসে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের ‘এক্সচেঞ্জ অফ লেটার’ হয়েছে। অর্থাৎ কাজ এগোচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওএনজিসি-র উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩টি, নদিয়ায় ১টি এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট ৫টি খনন কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় জমি লিজ নেওয়া ও প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। দেগঙ্গার চাপাটলা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর-২ ব্লকে অতিরিক্ত জমি নেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে।
ওএনজিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডার রয়েছে প্রায় ২,৫০০ থেকে ৬,০০০ মিটার গভীরে। সমস্ত প্রযুক্তিগত সমীক্ষা শেষ হওয়ার পরই পূর্ণমাত্রায় উত্তোলন শুরু হবে। অনুমোদিত ফিল্ড ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী, ১০ মাসের মধ্যে তেল উৎপাদন এবং প্রায় ১৭ মাসের মধ্যে গ্যাস উৎপাদন শুরু হতে পারে।
লিজের জন্য রাজ্য সরকার স্ট্যাম্প ডিউটি পাবে। লিজের মেয়াদ ৩০ বছর, সুতরাং এক সঙ্গে ৩০ বছরের জন্যই স্ট্যাম্প ডিউটি পাবে রাজ্য। স্ট্যাম্প ডিউটি কত হবে তা রয়্যালটির উপর নির্ভর করবে। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বলা সম্ভব হবে অশোকনগরে কবে থেকে তেল তোলার কাজ শুরু হবে।