পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর কড়া পদক্ষেপ করেছে ভারত। সমস্ত পাকিস্তানিদের চিহ্নিত করে তাদের ভারত ছেড়ে নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ভারত সরকারের এই নির্দেশিকার জেরে চরম বিপদে প্রেমের টানে ভারতে এসে সংসারী হওয়া সীমা হায়দার। সরকারি নীতি মেনে ভারত ছাড়তে হবে তাঁকেও। একথা জানতেই সমাজ মাধ্যমে মোদী সরকারের উদ্দেশে আর্জি জানিয়েছেন সীমা। তাঁর অনুরোধ ‘আমি পাকিস্তানের মেয়ে ছিলাম, কিন্তু এখন আমি ভারতের পুত্রবধূ। দয়া করে আমাকে আর ওখানে ফেরত পাঠাবেন না।’
দুই বছর আগের কথা। চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে আসেন সীমা। বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন উত্তরপ্রদেশের শচীন মিনার সঙ্গে। এমনকি এখানে এসে হিন্দু ধর্মও গ্রহণ করেন তিনি। তখন থেকেই শিরোনামে সীমা হায়দার। নানারকম বাধাবিপত্তির মধ্যেও এদেশে থেকে সুখেই সংসার করছিলেন তিনি। শচীনের সঙ্গে এক কন্যা সন্তানের জন্মও হয় ভারতে। কিন্তু কাশ্মীরের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ সব হিসেব ওলট পালট করে দিয়েছে। সীমার সংসারে ফের ঘনিয়ে এসেছে অনিশ্চয়তার অন্ধকার। ভারত ছাড়ার আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর।
সীমা বলেছেন, ‘আমি কোনওভাবেই পাকিস্তানে যেতে চাই না। আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীজি ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আর্জি জানাতে চাই, এখন আমি ওনাদের অধীনে। হ্যাঁ আমি পাকিস্তানের মেয়ে ছিলাম, তবে এখন ভারতের পুত্রবধূ। ফলে আমাকে এখানে থাকতে দেওয়া হোক।’