‘পরাজয়ে আমরা নিরাশ হই না’, হার মেনে পােস্টার পড়ল বিজেপি’র দফতরে

পরাজয় স্বীকার করে বিজেপি'র দফতরে পোস্টার। (Photo: IANS)

এক্সিট পােলেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে ফের একবার দিল্লি মসনদে বসতে চলেছেন কেজরিওয়াল। কিন্তু এরপরই বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের ধারণা ছিল হয়তাে শেষ মুহূর্তে খেলা ঘুরবেই। দিল্লি দখল করবে বিজেপিই। ট্রেন্ড দেখেই হার মেনে নিল বিজেপি? অন্তত নজিরবিহীনভাবে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে যেভাবে হােডিং পড়ল তাতে এই প্রশ্নটা এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিন সকাল থেকেই কার্যত ফাঁকা দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতর। এর মধ্যে বিজেপির অফিসের বাইরে একটি হাের্ডিং দেখা যায়, ভয়ে আমারা অহংকারী হই না। পরাজয়ে আমরা নিরাশ হই না।’ হোর্ডিংয়ের একাংশে বড় বড় করে রয়েছে অমিত শাহের ছবি। এক ঝলকে দেখে মনে হচ্ছে, অমিত শাহই এমনটা বলছেন।

ইতিমধ্যে সােশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল সেই ছবি। আর সেই ছবি ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলের কটাক্ষ, তাহলে সব দম্ভ চুরমার। দিনের শুরুতেই হার স্বীকার করে নিল বিজেপি? যদিও এই বিষয়ে একেবারেই স্পিকটি নট বিজেপি নেতৃত্ব।


দিল্লির নির্বাচন বিজেপি এবং আম আদমির কাছে যথেষ্ট প্রেস্টিজিয়াস ফাইট ছিল। একদিনে ক্ষমতা ধরে রাখা অন্যদিকে দিল্লি দখল করাটা শাহ মেদিদের কাছে ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। লােকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভােট পেয়ে ফের একবার দিল্লির মসনদে মােদি।

কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে একের পর এক রাজ্যে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। কোথাও মমতা হারিয়েছে তো কোথাও আবার রাজ্য দখলের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। কিন্ত এত দম্ভ সত্বেও বিজেপির সভাপতির পদ ছেড়ে দিলেও দিল্লির যুদ্ধ ছিল অমিতের কাছে মর্যাদার লড়াই। তাই পূর্ণশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছিলেন তিনি। একাধিক প্রচার সভা করেছেন খােদ মােদিও।