গুমনামি বাবা আর নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু একই মানুষ কিনা, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারলাে না বিচারপতি বিষ্ণু সহায় কমিশন। কমিশন এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় বলে তাদের রিপাের্টে জানিয়েছে।
গতকাল উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রিসভায় রিপাের্টটি পেশ করা হয়। গুমনামি বাবাই নেতাজি বলে বিশ্বাস অনেকের। কিন্তু সে ধারনা সত্যি না মিথ্যে, তা নির্দিষ্ট করে এতদিন পরে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল বিচারপতি বিষ্ণু সহায়ের কমিশন।
তবে গুমনামি বাবা ও নেতাজির মধ্যে বেশ কিছু সাদৃশ্যের কথা রিপাের্টে উল্লেখ করা হয়েছে। নেতাজি বাংলা, হিন্দি ও ইংরাজি ছাড়াও আরও তিনটি ভাষায় স্বচ্ছন্দ ছিলেন। গুমনামি বাবাও বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি ছাড়াও সেই তিনটি ভাষা ভালাে ভাবে জানতেন।
তবে রিপাের্টে আরও বলা হয়েছে যে ১৯৮৫ সালে গুমনামি বাবা মারা যান। সে সময় তাঁকে যাঁরা দেখেছিলেন, এতদিন পরে তাদের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট করে কিছু জানা সম্ভব নয়।
২০১৬-য় একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে এই কমিশন গঠন করেছিল তৎকালীন সমাজবাদী পার্টি সরকার।