উত্তর প্রদেশে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত কুখ্যাত দুষ্কৃতী

ফাইল ছবি।

উত্তর প্রদেশের আজমগড়ে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীর। মৃত ব্যক্তির নাম শঙ্কর কনৌজিয়া, যিনি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ছিল এক লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে বারাণসী পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গোপন সূত্রে খবর পায় যে আজমগড়ে দলবল নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন শঙ্কর এবং সেখানে বড়সড় কোনও অপরাধ সংগঠিত করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। খবর পেয়েই ইনস্পেক্টর পুনীত সিংহ পরিহারের নেতৃত্বে এসটিএফ-এর একটি দল আজমগড়ে অভিযান চালায়।

এসটিএফ দাবি করেছে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই শঙ্কর প্রথমে গুলি চালাতে শুরু করেন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষে শঙ্কর গুরুতর জখম হন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে একটি ৯ এমএম কার্বাইন, একটি ৯ এমএম পিস্তল, একটি খুখরি এবং বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শঙ্করের সঙ্গে থাকা অন্য দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।

পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১১ সালে মউ জেলার দোহরীঘাট এলাকায় লুটপাটের সময় বিদ্যাঞ্চল পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে খুন করে দেহ গুম করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন শঙ্কর। পরবর্তী সময়ে একাধিক লুট, খুন ও অপহরণের ঘটনায় তাঁর নাম উঠে আসে। এইসব অপরাধে দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, শঙ্করের মৃত্যুর ফলে একটি বড় দুষ্কৃতী চক্রের কার্যকলাপে বড় ধাক্কা লাগবে। তদন্তের মাধ্যমে পুরো নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে।