সামনে ভােট, পেট্রোপণ্যের দাম কমাতে উদ্যোগী মােদি-শাহ

নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। (Photo: IANS)

পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যে ইতিমধ্যে ভোট ঘােষণা হয়েছে। এদিকে রােজই বাড়ছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। তার সাথেই দোসর হয়েছে রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি। এ নিয়ে বিজেপিকে বিধতে ছাড়ছে না বিরােধীরা।

এমনকি দলের মধ্যে দিলীপ ঘােষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী এমনকি অসমের সর্বানন্দ সােনওয়াল, হিমন্ত বিশ্বশর্মারা দলের মধ্যে আওয়াজ তুলেছেন। আর এ নিয়ে এবার মাথা লাগাতে বসেছেন নরেন্দ্র মােদি অমিত শাহ। কিভাবে তেলের দাম কমানাে যায় তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে।

কিন্তু কি করা হবে তা নিয়ে বিজেপি সূত্রে বা সরকারি সুত্রে কিছু জানা যায়নি। তবে কিছুদিন আগে আভাস মিলেছিল পেট্রোল ডিজেলকে জিএসটির আওয়াতা না হবে। তাতে অনেকটাই কমে যাবে পেট্রোল ডিজেলের।


যদিও এতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে রাজ্যগুলি রাজ্যের আয় এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন সােমবার বলেন, রাজ্যগুলির সাথে কথা চলছে। তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সঙ্গেও কথা বলছে সরকার।

সূত্রের খবর, পেট্রোল ডিজেলের উপর আন্তঃশুল্ক কমাতে পারে কেন্দ্র। তাতে এক ধাক্কায় তেলের দাম কিছুটা নামতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু রাজ্যকে বলা হবে তারাও যেন কর কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দেয়।

প্রসঙ্গত, লকডাউনের মধ্যে অপরিশােধিত তেলের দাম দ্বিগুন হয়েছে। এ দিকে কোভিডের ধাক্কায় সরকারের রাজস্ব তলানিতে। ফলে কেন্দ্র পেট্রোল, ডিজেলের উপর আন্তঃ শুষ্ক চাপিয়ে ঘাটতি কিছুটা কমানাের চেষ্টা করেছে।

এই দুয়ের ধাক্কাতেই তেলের দাম হাত পুড়ছে জনতার। ফলে কেন্দ্র রাজ্য সমষ্টিগত প্রয়াসে আপাতত কর কমিয়ে সুরাহার কথাই ভাবা হচ্ছে।