প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেলেন প্রাক্তন আইপিএস সঞ্জীব ভাট। পুলিশি হেফাজতে অভিযুক্তর উপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ ছিল প্রাক্তন এই আইপিএসের ওপর। আদালত জানিয়েছে, অভিযোগের সপক্ষে কোনও যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তাই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে সঞ্জীব ভাটকে।
বিতর্কিত প্রাক্তন আইপিএসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯০ সালে জামনগরে পুলিশি হেফাজতে নৃশংস নির্যাতনের জেরে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন ভাট। অন্যদিকে ১৯৯৬ সালে রাজস্থানের এক আইনজীবীকে মাদক মামলা ফাঁসানোর অভিযোগে ২০ বছরের সাজা হয়েছে তাঁর।
তবে প্রাক্তন আইপিএস সঞ্জীব ভাট জামিন পেলেন ১৯৯৭ সালের একটি মামলায়। সেই সময় সন্ত্রাসবাদ ও বেআইনি অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় নারান যাদব নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য পুলিশ হেফাজতে নৃশংস নির্যাতন করেন সঞ্জীব ভাট ও বজুভাই চাউ নামে এক কনস্টেবল। যাদবকে বেঁধে তাঁর শরীরের নানা জায়গায় বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়। বাদ যায়নি যাদবের পুত্রও।
এরপরই ১৯৯৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলা দায়ের হয় সঞ্জীব ভাট ও বজুভাই চাউয়ের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে ২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট এফআইআর দায়ের করা হয়। যদিও সেই মামলায় প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস হলেন সঞ্জীব। অন্যদিকে বজুভাই চাউয়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই।
বিতর্কিত এই আইপিএসের কীর্তির অভাব নেই। জানা গেছে ১৯৯০ সালে জামনগর জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে ছিলেন সঞ্জীব। ১৯৯০ সালে বিহারে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর রথ আটকে দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল লালুপ্রসাদ যাদবের সরকার। আডবাণী গ্রেফতার হওয়ার পর দেশের নানা প্রান্তে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। জামনগর জেলার যোধপুর শহরে দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫০ জনকে গ্রেফতার করেছিলেন সঞ্জীব।