অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে জয়পুরের কারখানা থেকে পালালো ৭ জন শিশুশ্রমিক

প্রতীকী চিত্র

জয়পুরের একটি কাচের চুরির কারখানায় কাজ করার জন্য সাত জন নাবালককে বিহার থেকে রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের দিয়ে সামান্য মজুরির বিনিময়ে  দিনে ১৮ ঘন্টা কাজ করানো হত এবং দেওয়া হত যৎসামান্য খাবার। দিনে মাত্র এক বেলা খাবার পেত ওই নাবালকরা। এছাড়াও যখন তখন তাদের মারধরও করা হত বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে ওই সাত জন নাবালক সোমবার রাতে চুড়ির কারখানা থেকে পালায়। রাতে তারা আশ্রয় নেয় স্থানীয় একটি কবরস্থানে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায়। স্থানীয়রা ভট্ট বস্তি থানায় এবং চাইল্ড  ওয়েলফেয়ার কমিটিতে খবর দেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, দু’মাস আগে ওই সাত জন নাবালককে  ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার অছিলায় বিহার থেকে রাজস্থানে নিয়ে যান সামসাদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি। এরপর ওই সাত জনকে জয়পুরের চুড়ির কারখানায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। প্রথমে ওই বাচ্চারা ভয় পেয়ে কিছু বলতে চায়নি কিন্তু পরে তারা সব কিছু খুলে বলে। জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে সামসাদ নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে।


উল্লেখ্য, জয়পুরের কাচের চুড়ির কারখানায় এর আগেও অনেকবার শিশুশ্রমিকদের নিয়োগ করা হয়েছে। এই ব্যপারে আগেও অনেকবার পুলিশ তদন্ত করেছে কিন্তু তাতে শিশুশ্রমিকদের নিয়োগ বা তাদের উপর অত্যাচার বন্ধ হয়নি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর ৪০০০ বাচ্চাকে বিহার থেকে রাজস্থানে আনা হয়। পুলিশ তাদের মধ্যে ২০ শতাংশ শিশুকে উদ্ধার করতে পারে। বাকিদের দিনের পর দিন অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে হয় সামান্য গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য।