ভারতের কোয়ারান্টাইন ব্যবস্থা নিয়ে অখুশি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন !

প্রতিকি ছবি (File Photo: AFP)

ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে এই ভাইরাসের কবলে ৬০১ জন। সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ৭৫। তারমধ্যে বেশীরভাগ হয়েছে গতমাসে দিল্লিতে জমায়েতে অংশগ্রহণকারীদের থেকে।

এই পরিস্থিতিতে কঠোর হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। দেশে করোনার এই প্রবণতা অব্যহত থাকলে আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যে এই মারণ ভাইরাসে দেশের ১০ হাজার মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগী উপচে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই করোনার কোনও উপসর্গ থাকলেই এখন কোয়ান্টাইনে পাঠানো হচেছ রোগীদের।

এদিকে কোয়ারান্টাইনে যাওয়া বা করোনা আক্রান্ত হয়েছে এমন সন্দেহ হলেই মানুষ এখন সেই রোগীকে তাচ্ছিলের নজরে দেখতে শুরু করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে এই তাচ্ছিল্য ও বিদ্রুপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করছেন অনেকেই। এছাড়া অনেক ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা লকডাউনের জেরে আটকে পড়েছেন অন্য রাজ্যে।


এই সব পরিস্থিতির যোগে ভারতের কোয়ারান্টাইন ব্যবস্থার প্রতি অসন্তোষ ব্যক্ত করল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। এই বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট দাবি করেন, ভারতের কোয়ারান্টাইন ব্যবস্থা রোগীদের কলঙ্কিত করছে সমাজের কাছে। রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। যার জেরে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।

২৫ মার্চ দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন করার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তবে এরপরও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তবে এই পরিস্থিতিথেকে দেশকে বের করার সেরকম কোনও উপায়ই বের করতে পারছে না সরকার।

এদিকে এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রুখতে ভারতের এই কোয়ারান্টাইন ব্যবস্থার নেগেটিভ দিকগুলি তুলে ধরায় অস্বস্তিতে পড়বে সরকার। সরকার কোনও ভাবেই কোনও ব্যক্তিকে কোনও রোগ থাকার জন্য দোষী সাব্যস্ত করতে চায় না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে করোনা থাকলেই তাকে দেখা হচ্ছে দোষী হিসাবে। করোনা রোখার পাশাপাশি এই বিষয়টিও ঠিক করতে চাইবে সরকার।