দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে বড় সাফল্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র। এই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে উমর-উন-নবির এক সহযোগীকে। ধৃত এই ব্যক্তিই আই-২০ গাড়িটির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ধৃত ব্যক্তির নাম আমির রশিদ আলি। এই আমিরের নামেই বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি নথিভুক্ত ছিল বলে সূত্রের খবর। রবিবার সন্ধেয় তল্লাশি অভিযান চলাকালীন দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর এনআইএ-র হাতে প্রথম গ্রেপ্তার হলেন এই ব্যক্তি। এনআইএ সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিক বোমা হামলার ষড়যন্ত্র করতে উমরকে সাহায্য করেছিলেন এই ব্যক্তিই।
এনআইএ-র তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ধৃত আমির রশিদ আলি জম্মু-কাশ্মীরের পাম্পোরের সাম্বুরার বাসিন্দা। অভিযুক্ত ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী উমন-উন-নবির সঙ্গে ষড়য্ন্ত্র করেছিলেন।’ এই হামলাকে জঙ্গি হামলা উল্লেখ করে এনআইএ জানিয়েছে, ঘাতক গাড়িতে বোঝাই করা ছিল আইইডি বিস্ফোরক।
এনআইএ সূত্রে খবর, আমির রশিদ আলি হুন্ডাই আই-২০ গাড়িটি কেনার জন্য দিল্লিতে এসেছিলেন, যা ১০ নভেম্বর দিল্লির বিস্ফোরণকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১০ নভেম্বর সন্ধেয় রাজধানীর ব্যস্ত রাস্তায়, পুরনো দিল্লি এলাকার রাস্তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরায় গাড়িটি চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা।
উমরের সঙ্গে ধৃত ওই ব্যক্তির কীভাবে যোগাযোগ হয়, কতদিন ধরে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল, হামলার পরিকল্পনায় তিনি যুক্ত ছিলেন কিনা, জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছেন এনআইএ-র তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এদিকে এনআইএ-র ফরেনসিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির মৃত চালক উমর-উন-নবি। তিনি পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা। ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন।
শনিবার দিল্লি পুলিশ হরিয়ানার আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ চিকিৎসক-সহ ৩ জনকে আটক করেছে। এঁদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী মডিউল মামলার গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এনআইএ আরও জানিয়েছে যে, বোমা হামলার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই হামলায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত করতে একাধিক সূত্র ধরে এগোচ্ছে এই তদন্তকারী সংস্থা।