গত দশ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর রবিবার নদী থেকে উদ্ধার হল উত্তরাখণ্ডের সাংবাদিক রাজীব প্রতাপের দেহ। তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রহস্যের জট। পুলিশ দাবি করছে, এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। অন্যদিকে পরিবার বলছে, তাঁকে খুন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক সংগঠনগুলি রাজীব প্রতাপের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে। মৃতের পরিবার এখনও ন্যায়বিচারের আশায় দিন গুনছে।
প্রসঙ্গত, রাজীব প্রতাপ (৩৮) ছিলেন আইআইএমসি-র প্রাক্তনী এবং ‘দিল্লি উত্তরাখণ্ড লাইভ’ নামে একটি ইউটিউব সংবাদ চ্যানেল চালাতেন। ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে গঙ্গোরি-ভাটওয়ারি যাওয়ার পথে তাঁর সঙ্গে শেষবার কথা হয় স্ত্রী মুসকানের। রাত প্রায় ১১টার সময় তিনি ফোনে জানান, এক স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে করা খবর প্রকাশের পর থেকে তিনি হুমকি পাচ্ছেন, মানসিকভাবে ভীষণ অস্থির লাগছে। এরপরই ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
১৯ সেপ্টেম্বর উত্তরকাশীতে একটি মারুতি অল্টো গাড়ি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নদীতে পড়েছিল। তবে গাড়ির ভিতরে প্রতাপের দেহ ছিল না। দশ দিন পর, রবিবার জোশিয়ার ব্যারেজ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনার পর স্রোতে ভেসে গিয়েছিল দেহ।
কিন্তু পরিবার তা মানতে নারাজ। রাজীব প্রতাপের স্ত্রী মুসকান সরাসরি অভিযোগ করেছেন, ‘আমার স্বামীকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। ওঁকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।’
আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতাপ নিখোঁজ হওয়ার সময় থেকেই পরিবার খুনের আশঙ্কা করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি, পুলিশ স্বচ্ছ তদন্ত করে এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করবে।’